নয়াদিল্লি: পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হতে অস্বীকার করলেন কংগ্রেস নেত্রী অম্বিকা সোনি। এমনই খবর সূত্রের। গতকাল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকে এই প্রস্তাব তিনি অস্বীকার করেছেন। অম্বিকা সোনির ঘনিষ্ঠ সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।  সেই সঙ্গে তিনি কোনও শিখকেই পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।


মুখ্যমন্ত্রী পদে অমরিন্দর সিংহর ইস্তফার পর রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কাকে করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয় রাহুল গাঁধীর সঙ্গে ওই বৈঠকে। অম্বিকা সোনি মুখ্যমন্ত্রী হতে অস্বীকার করায় কংগ্রেস এই পদের জন্য প্রতাপ সিংহ বাজওয়া, সুখবিন্দর সিংহ রান্ধওয়া, রণবীর সিংহ বিট্টুর মতো কয়েকজনের নাম বিবেচনা করছে বলে খবর। দল প্রথমে সুনীল জাখরকে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরে কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে।


সূত্রের খবর, পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন এবং সেইসঙ্গে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহর ক্ষোভ প্রশমনের কৌশল নিয়েও গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত রাহুলের বাসভবনে আলোচনা হয়। অম্বিকা সোনিও পঞ্জাবের। তাই কংগ্রেস নেতৃত্ব আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত অম্বিকা সোনিই মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব গ্রহণ করুন, এমনই চেয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। 
সূত্রের খবর, দল ভোটের আগে আম আদমি পার্টি (আপ)-এর মোকাবিলায় কোনও অ-শিখকে সামনে রাখতে চায়। আপ ক্রমশ পঞ্জাবে জমি শক্ত করছে বলে খবর। এরইমধ্যে কংগ্রেস এই ধরনের কৌশলে আপের মোকাবিলা করতে চায়।  সূত্রের খবর, পঞ্জাবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে শিখ নভজ্যোত সিংহ সিধু ও কোনও অ-শিখ মুখ্যমন্ত্রীর সমন্বয়ে  লড়াই করতে চায়। 


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোতি সিংহ সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বিবেচনা করা হলে তার তীব্র বিরোধিতা করেছেন অমরিন্দর। তিনি সিধুকে অদক্ষ ও জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক আখ্যা দিতেও ইতস্তত করেননি। তিনি বলেছেন, সিধু অযোগ্য। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে তা হবে বিপর্যয়। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে বেছে নেওয়া হলে আমি তার তীব্র বিরোধিতা করছি। সিধুর সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে তা হবে জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে আপোস করা।