চণ্ডীগড়: কংগ্রেসে (Congress) ছেডে় বিজেপি-র (BJP) সঙ্গে জোট গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আগেই। এ বার অমিত শাহের (Amit Shah) উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে আসন সমঝোতাও হয়ে গেল পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ (Captain Amarinder Singh) এবং তাঁর নয়া দল পাঞ্জাব লোক কংগ্রেসের। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Punjab Polls 2022) সেখানে ৬৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিজেপি (BJP)। পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস লড়বে ৩৭টি আসনে। জোটের তৃতীয় শরিক শিরমণি অকালি দল (সংযুক্ত) ১৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda), অমরিন্দর এবং শিরোমণি অকালি দল (সংযুক্ত)-এর নেতাদের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে জরুরি বৈঠক হয়। তার পর তিন দলের প্রতিনিধিরা একত্রে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই আসন সমঝোতার হিসেব তুলে ধরা হয়। সেখানে নাড্ডা বলেন, ‘‘পাঞ্জাবের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। রাজ্যের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেখানে স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার জন্যই এ বারের নির্বাচন। পাঞ্জাবকে সঠিক পথে ফেরানোই লক্ষ্য আমাদের।’’
নভজ্যোত সিংহ সিধুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব এবং দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতান্তরের জেরে গত বছর কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অমরিন্দর। তখনও দিল্লি সীমানায় কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। সেই সময়ই বিজেপি-র সঙ্গে জোটে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অমরিন্দর। তবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিজেপি কৃষকদের সমস্যা মেটাতে তৎপর হলে, তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও পড়ুন: Uddhav Thackeray: বিজেপির সঙ্গে জোট করে ২৫ বছর নষ্ট হয়েছে, বালাসাহেবের জন্মদিনে উষ্মা উদ্ধবের
এর পর বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শীতকালীন অধিবেশনে তাতে সিলমোহরও পড়ে যায়। আর তার পরেই অমরিন্দরের সঙ্গে বিজেপি-র জোটে সিলমোহর পড়ে।
এর আগে, রবিবার ২২ টি আসনে পাঞ্জাব লোক কংগ্রেসের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেন অমরিন্দর। তিনি নিজে পাটিয়ালা শহর কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেনই। এ ছাড়াও ভারতীয় হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক অজিত পাল সিংহকেও প্রার্থী করেছেন।
১১৭ আসনের পাঞ্জাব বিধানসভায় পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস যে ৩৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে, তার মধ্যে ২৬টিই মালওয়া অঞ্চলের মধ্যে পড়ছে। ওই অঞ্চল অমরিন্দরের পারিবারিক দুর্গ হিসেবে পরিচিত। ২০০৭ সালে ওই এলাকা থেকে প্রাপ্ত ভোটে ভর করেই কংগ্রেসকে বিপুল জয় এনে দেন তিনি। এ বারেও কৃষি আইন প্রত্যাহারের কৃতিত্বকে তিনি প্রচারের হাতিয়ার করে নামতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।