চণ্ডীগড় : রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী "অনভিজ্ঞ"। বুধবার এই মন্তব্য করলেন সদ্য পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। পাশাপাশি তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।


শুধু তা-ই নয়, তিনি সিধুকে একহাত নিয়ে "নাটকের মাস্টার" ও "বিপজ্জনক লোক" বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি আরও বলেন, নতুন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চান্নিকে সঙ্গে নিয়ে নিজেকে "সুপার সিএম" মনে করছেন উনি। তাঁর দাবি, দলের তরফে এখন দিল্লি থেকে পঞ্জাবকে পরিচালনা করা হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, সিধুর সঙ্গে দীর্ঘ তিক্ততার জেরে শনিবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন অমরিন্দর সিংহ। কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকের আগে আগে পদত্যাগ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, গোপনে এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। পরে বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা বলেন, প্রিয়ঙ্কা ও রাহুল আমার সন্তানের মতো। এভাবে বিষয়টা শেষ হওয়া উচিত ছিল না। আমি আঘাত পেয়েছি। বিধায়কদের আমি বিমানে গোয়া বা অন্যত্র উড়িয়ে নিয়ে যাইনি। এভাবে আমি কাজ করি না। গাঁধী ভাই-বোনেরা জানে সেভাবে আমি চলি না। "গাঁধী সন্তানরা" কিছুটা অনভিজ্ঞ এবং উপদেষ্টারা ওঁদের ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে।


এর পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, জয়ের পর আমি রাজনীতি ছেড়ে দিতাম, কিন্তু হেরে তো নয়-ই। কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গাঁধীর কাছে তিনি তিন সপ্তাহ আগেই পদত্যাগ করার কথা ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বলে জানান। কিন্তু, উনিই তাঁকে আপাতত চালিয়ে যেতে বলেন। তিনি বলেন, "উনি(সোনিয়া গাঁধী) যদি আমায় ডেকে পদত্যাগ করতে বলতেন, তাহলে আমি তা-ই করতাম। একজন সৈনিক হিসেবে আমি জানি, কীভাবে কাজ করতে হয়। পঞ্জাবে কংগ্রেসকে আরও একবার জিতিয়ে আনার পর আমি অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব তুলে দিতে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু, তা হয়নি। তাই আমি লড়াই করব। ৪০ বছর বয়সেও এক জন বৃদ্ধ হয়ে যেতে পারেন, আবার ৮০ বছরেও তরুণ থাকতে পারেন।"