নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের অফিসিয়াল হ্যান্ডল, রাহুল গাঁধী সহ দলের বেশ কয়েকজনের নেতার অ্যাকাউন্ট লক্ড করার নেপথ্যে যুক্তি পেশ করল ট্যুইটার।
মাইক্রো ব্লগিং সাইটের তরফে বলা হয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে এমন একটি পোস্ট করা হয়েছে, যা নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। ব্যক্তির গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা রক্ষার্থেই ব্লক করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি, রাহুল গাঁধীর অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করে ট্যুইটার। কিছুদিন আগে, দিল্লিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। গত বুধবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান রাহুল।
কিন্তু, নির্যাতিতার মা-বাবার ছবি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন কংগ্রেস সাংসদ। তার জেরেই ব্যবস্থা নেয় ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয় রাহুল গাঁধীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট। যদিও কংগ্রেসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে মানুষের সমস্যা নিয়ে সরব হবেন রাহুল।
শুধু রাহুল নন, লক্ড করা হয়েছে আরও ৫ কংগ্রেস নেতার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট। গতকাল এমনই অভিযোগ করে কংগ্রেস। এমনকী, লক্ড করা হয়েছে দলের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডলও।
অভিযোগ, ট্যুইটারের তরফে বন্ধ করা হয়েছে কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মাকেন, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরজেওয়ালা, কংগ্রেস সাংসদ মণিকম ঠাকুর, মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুস্মিতা দেব ও অসমের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং আলওয়ারের অ্যাকাউন্ট।
বৃহস্পতিবার, মার্কিন মাইক্রো ব্লগিং সাইটের তরফে জানানো হয়, সংস্থার নিয়ম ও পরিষেবা প্রত্যেকের জন্য ন্যায়সঙ্গত এবং নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগ করা হয়।
ট্যুইটারের মুখপাত্র বলেন, নিয়ম লঙ্ঘন করেছে এমন একটি ছবি পোস্ট হওয়ার দরুন আমরা কয়েকশো টুইটের বিরুদ্ধে সক্রিয়তার সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়েছি। ভবিষ্যতেও আমরা নিজেদের পরিসরের মধ্যে প্রয়োজনে এমন পদক্ষেপ নেব।
তিনি যোগ করেন, নির্দিষ্ট কয়েকটি ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য অন্যদের তুলনায় বেশি ঝুঁকি বহন করে এবং আমাদের লক্ষ্য সবসময় সকল ব্যক্তির গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা রক্ষা করা।
টুইটারের মতে, যদি কোনও ট্যুইট সংস্থার নিয়ম লঙ্ঘন করে এবং অ্যাকাউন্টধারী তা মুছে না দেন, তাহলে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম একটি নোটিসের আড়ালে সংশ্লিষ্ট পোস্ট লুকিয়ে রাখে এবং অ্যাকাউন্টটি লক থাকে যতক্ষণ না সেই ট্যুইটটি সরানো হচ্ছে অথবা আবেদনের সফল নিষ্পত্তি হচ্ছে।
মার্কিন সংস্থা আরও জানিয়েছে, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন ওই পোস্টের বিষয়ে তাদের সতর্ক করে। সেখানে বলা হয়, তাদের প্ল্যাটফর্মে এমন একটি পোস্ট রয়েছে, যেখানে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। এই বিষয়বস্তু টুইটারের নিয়ম ও নীতির বিরুদ্ধে এবং একইসঙ্গে ভারতীয় আইনের বিধিনিষেধ রয়েছে।