দিল্লি : সংক্রমণ ক্ষমতা বাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। বাড়ছে মৃত্যু। সংকটজনক পরিস্থিতির মোকাবিলায় চিকিৎসা সামগ্রী প্রস্তুত রাখতে তৎপর একাধিক রাজ্য। অক্সিজেনের অভাবে করোনা আক্রান্তের শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর প্রায়ই সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের জোগান দিতে সাহায্যের হাত বাড়াল রেল। তাদের তরফে "অক্সিজেন এক্সপ্রেস" ট্রেন চালু করা হবে বলে আজ জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। 


টুইটারে রেলমন্ত্রী জানান, "করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও খামিত রাখবে না রেল। রোগীদের কাছে প্রচুর পরিমাণে এবং দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দিতে আমরা গ্রিন করিডর করে অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেন চালাব।" এই ট্রেনগুলতে লিকুইড মেডিকেল অক্সিজেন(এলএমও) এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবহন করা হবে। 


সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রেলের মাধ্যমে লিকুইড মেডিকেল অক্সিজেন ট্যাঙ্কার সরবরাহ করা যায় কি না তা দেখার জন্য মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের তরফে রেলমন্ত্রকে আবেদন জানানো হয়েছিল। করোনা চিকিৎসায় অক্সিজেন অন্যতম সামগ্রী।


কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তরফে জানানো হয়, ট্রেনে আইসোলেশন বেড বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে সরকার। রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ী তিন লাখের বেশি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত করা যাবে। 


পোস্টে রেলমন্ত্রী আরও লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে সরকার। শাকুর বস্তি স্টেশনে ৮০০ শয্যা বিশিষ্ট ৫০টি আইসোলেশন কোচ তৈরি আছে। এবং দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশনে আরও ২৫টি কোচ প্রস্তুত রাখা হবে। 


দেশে উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। আজ সকালে নতুন করে ২.৬১ লাখ মানুষের সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। মৃত্যু হয়েছে ১৫০১ জনের। এই নিয়ে টানা চতুর্থদিন দেশে করোনা সংক্রমণ ২ লক্ষ পার করে গেল। এর ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১.৪৭ কোটি।


শনিবার দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, সংক্রমিত হয়েছিলেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন। মৃত্যু হয়েছিল ১ হাজার ৩৪১ জনের। শুক্রবার যে সংখ্যাটা ছিল তার থেকে কিছুটা কম। শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৩ জন। মৃতের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৮৫ জন।