নয়াদিল্লি:  ক্রমাগত আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে সহমতে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে ভারত ও চিন। বৃহস্পতিবার, রাজ্যসভায় এমনটাই জানিয়েছেন রাজনাথ সিংহ।


প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, প্যাংগং হৃদের উত্তর ও পশ্চিম প্রান্তে অস্ত্র পরিহার করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজনাথ বলেন, আমি এটা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, চিনের (সেনা) সঙ্গে নিরন্তর আলোচনা ও আমাদের সুচিন্তন পদ্ধতির দৌলতে আমরা প্যাংগং লেকের উত্তর ও পশ্চিম প্রান্তে যৌথ নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি।


প্রতিরক্ষামন্ত্রী যোগ করেন, সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের ৪৮-ঘণ্টার মধ্যে দুপক্ষের শীর্ষ কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হবে। সেখানে সীমান্ত সম্পর্কিত যাবতীয় ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনা হবে এবং সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা হবে।


রাজনাথ জানান, নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ফরোয়ার্ড এরিয়ায় পর্যায়েক্রম ও সমন্বয়ে বাহিনী মোতায়েন কমিয়ে ফেলবে ভারত ও চিন। তিনি যোগ করেন, প্যাংগং লেকের উত্তর প্রান্তে ফিঙ্গার এইট-এর পূর্বদিকে বাহিনী রেখে দেবে চিন। অন্যদিকে, ফিঙ্গার থ্রি-র কাছে সেনা মোতায়েন রাখবে ভারত। একইভাবে হৃদের দক্ষিণ প্রান্তেও ঐকমত্যে বাহিনী মোতায়েন সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী।


সংসদে রাজনাথ আরও জানান, ২০২০ এপ্রিল থেকে লেকের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে উভয় পক্ষ যে যে কাঠামো গড়েছে, তা ঐকমত্যের ভিত্তিতে ও পর্যায়েক্রমে সরিয়ে উপত্যকাকে আগের পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, সেনা প্যাট্রলিং সমেত প্যাংগংয়ের উত্তর প্রান্তে সামরিক ব্যস্ততা কমিয়ে ফেলতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। 


গত বছরের এপ্রিল-মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল(এলএসি) বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাতের আবহ বজায় রেখেছিল ভারত ও চিন। দুপক্ষই সীমান্তে বিপুল বাহিনী মোতায়েন করতে শুরু করে। যা ঘিরে সীমান্তে প্রবল উত্তেজনার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। 


গত ২৪ জানুয়ারি, মোলদো-চুলশুল সীমান্তে দুদেশের কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে পূর্ব লাদাখে প্রাথমিকভাবে সামরিক সম্ভার কমানোর ইঙ্গিত মেলে।