নয়াদিল্লি: সামনের মাসেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Election)। তার আগে রাজ্যসভা নির্বাচন (Rajya Sabha Election 2022) ঘিরে জোর তরজা। নির্বাচনে ক্রস ভোটিং (Cross Voting) হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে আসছে, অর্থাৎ এক দলের সাংসদ অন্য দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ। একটি বা দু'টি নয়, একাধিক আসনে ক্রস ভোটিং হয়েছে বলে অভিযোগ। তার জেরে ফলাফল ঘোষণার সময় পিছিয়ে গিয়েছে। মাঝপথে ১৬টি আসনের ভোটগণনা শুরু আটকে গিয়েছে বলে খবর। 


দেদার ভোট চালাচালির অভিযোগ


শুক্রবার ১৫ রাজ্যের ৫৭টি শূন্য আসনে ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে ২৩টি আসন বিজেপি-র দখলে ছিল। কংগ্রেসের দখলে ছিল আটটি আসন। এ দিন ভোটগণনা শুরু হলে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, রাজস্থান এবং হরিয়ানার আসন ঘিরে তুমুল তরজা শুরু হয়। ওই আসনগুলিতে ক্রস ভোটিং অর্থাৎ ভোট চালাচালি হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি এভং কংগ্রেসের। সেই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। ফলে ওই আসনগুলিতে গণনা শুরুই করা যায়নি। 


প্রকাশ্যে ভোট চালাচালির কথা মেনে নিয়েছেন কর্নাটকের বিধায়ক তথা জনতা দল (সেক্যুলার) নেতা কে শ্রীনিবাস গৌড়া। তিনি জানিয়েছেন, ভোট চালাচালি করে দারুণ লেগেছে তাঁর। অন্য দিকে, জনতা দল (সেক্যুলার) নেতা এইচডি কুমারস্বামী রাজ্যসভা নির্বাচনেও ঘোড়া কেনাবেচা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, ৩২ জনের মধ্যে ৩০ জনই তাঁদের সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। 


আরও পড়ুন: Indo-Bangladesh Bus Service: ভায়া ঢাকা, ২ বছর পর চালু আগরতলা-কলকাতা বাস পরিষেবা


রাজস্থানে আবার বিজেপি থেকে কংগ্রেসে ভোট গিয়েছে বলে অভিযোগ। ভোট চালাচালি করতে গিয়ে ঢোলপুরের বিজেপি বিধায়ক হাতেনাতে ধরা পড়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁর ভোটটি আপাতত গন্য না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক। 


মহারাষ্ট্রের ষষ্ঠ আসনটিকে ঘিরে জোর তরজা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন আঞ্চলিতক দলের ২৮ জন বিধায়ক এবং নির্দল বিধায়কদের ভোটাভুটির উপর ওই আসনটির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। কিন্তু শিবসেনা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস এবং কংগ্রেস জোটের দুই বিধায়ক নবাব মালিক এবং অনিল দেশমুখের জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাতেই বিপাকে পড়েছে ক্ষমতাসীন মহা আঘাডি জোট।  


জোর লড়াই বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে


হরিয়ানায় আবার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে। তাদের এক বিধায়কের ভোটকে সেখানে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুই নির্দল বিধায়ক বিজেপি-র প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন বলে খবর। হরিয়ানার দু'টি আসনের মধ্য়ে একটিতে প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণলাল পানওয়ারকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। কংগ্রেসের প্রার্থী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মাকেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কার্তিকেয় শর্মা নির্দল প্রার্থী হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। দুই বিধায়কের ভোট বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তিনি। কৃষ্ণলালের সপক্ষে বিজেপি-র শরিক দলের সমর্থনও রয়েছে। জয়ের জন্য আর চারটি ভোট প্রয়োজন তাঁর। সেখানে কংগ্রেসের ৩১ জন বিধায়ক রয়েছেন। ৩০টি ভোট পেলেই তাদের চলবে। তাই একটি ভোটও এদিক ওদিক হলে, মাকেনের হার অবশ্যম্ভাবী।