নয়াদিল্লি: সংবিধান (Indian Constitution) কার্যকর হওয়ার দিনটিই প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day 2022) হিসেবে পালিত হয় দেশে। রাজধানীতে মহাসমারোহে আয়োজিত হয় কুচকাওয়াজ। লালকেল্লা থেকে ওড়ানো হয় তেরঙ্গা। স্বাধীন ভারতের নতুন জীবনলাভের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে এই সংবিধান এবং তেরঙ্গার তাৎপর্য এবং ইতিহাস।


ব্রিটিশ সংসদের অনুপ্রেরণায় তৈরি ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনকে হটিয়ে ১৯৫০ সালে কার্যকর হয় ভারতীয় সংবিধান। এর সঙ্গে সঙ্গেই ভারতীয় সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইনবিধিতে পরিণত হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় সংবিধান সভা। তাঁদের হাতেই সংবিধান রচনার দায়িত্ব ওঠে। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর সংবিধান সভা রচিত সংবিধানটি অনুমোদিত হয়। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে গোটা দেশে কার্যকর হয় সেটি।


সংবিধান সভার চেয়ারম্যান বাবাসাহেব অম্বেডকরের (BR Ambedkar) নেতৃত্বে সংবিধান খসড়া কমিটি সংবিধান তৈরির কাজে হাত দেয়। ওই কমিটির সদস্য ছিলেন কে এম মুন্সি, আল্লাদি কৃষ্ণস্বামী আইয়ার, মহম্মদ সাদুল্লা, এন মাধবরাও এবং গোপালস্বামী আয়াঙ্গার। সংবিধান খসড়া কমিটির সভাপতি ছিলেন দেশর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ।


আরও পড়ুন: Arvind Kejriwal Update: সরকারি দফতরে শুধুই অম্বেডকর-ভগৎ সিংহের ছবি, ঘোষণা কেজরিওয়ালের


ভারতীয় সংবিধান পৃথিবীর মধ্যে দীর্ঘতম এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম কার্যকরী সংবিধান। এতে ৪৭টি অনুচ্ছেদ, ১২টি সূচি এবং পাঁচটি বাড়তি সংযুক্ত অংশ রয়েছে। শুরুতে যদিও ২২টি ভাগে ৩৯৫ অনুচ্ছেদ এবং আটটি সূচি রাখা হয়েছিল। পরবর্তী কালে সংশোধন ঘটায় তা আকারে বেড়েছে।


ভারতীয় সংবিধানে কেন্দ্র এবং রাজ্যের হাতে পৃথক প্রশাসনিক ক্ষমতার উল্লেখ রয়েছে। কোনও একপক্ষের হাতে যাবতীয় ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়নি। সংবিধানের প্রস্তাবনা বা মুখবন্ধে ভারতকে ‘সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশে সংসদীয় শাসন, ছয় মৌলিক স্বাধীনতা—সাম্যের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, সংস্কৃতি ও শিক্ষার অধিকার এবং সাংবিধানিক প্রতিকার পাওয়ার অধিকারের উল্লেখ রয়েছে।