নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস সারা বিশ্বেই ত্রাসের সঞ্চার করেছে। এরইমধ্যে ‘করোনা মাতা’ মন্দির গড়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার এক মহিলা ও তাঁর স্বামী। সেই মন্দির ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। মন্দির ভাঙার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করেছিলেন ওই মহিলা। সেই পিটিশনকে বিচারপতি এসকে কাউল ও বিচারপতি এমএম সুনদ্রেশের বেঞ্চ শুরু বাতিলই করেনি, সেইসঙ্গে পিটিশনকারীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে। আদালত উল্লেখ করেছে যে, যে জমিতে এই মন্দির তৈরি করা হয়েছিল, তা বিতর্কিত। এই পিটিশনকে 'প্রক্রিয়ার অপব্যবহার' বলেও মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।


আদালত বলেছে, পিটিশনকারীর যুক্তি যদি এই হয় যে, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জমিতে মন্দির গড়েছিলেন এবং তা করেছিলেন স্থানীয় নিয়ম অনুসারে, তাহলে তিনি যথাযথ আইনি উপায় ব্যবহার করেননি। এখনও পর্যন্ত পিটিশনার লোকজনের যে সমস্ত অন্যান্য সংক্রামক রোগের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেজন্য কোনও মন্দির গড়েননি। যে রেকর্ড সামনে এসেছে, তাতে ওই মন্দির বিতর্কিত জমিতে তৈরি করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল।


সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে, এটা স্পষ্টভাবে সংবিধানের ৩২ ধারা অনুযায়ী এই আদালতের  এক্তিয়ার প্রক্রিয়ার অপব্যবহার। এই লিখিত পিটিশনকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করে খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। ওই পাঁচ হাজার টাকা সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডভোকেটস অন রেকর্ড ওয়েলফেয়ার ফান্ডে চার সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে।


পিটিশনকারী দীপমালা শ্রীবাস্তব ধারা ৩২ অনুযায়ী মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ারের উল্লেখ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।  প্রতাপগড়ের জুহি শুকুলপুর গ্রামে ওই করোনা মাতা মন্দির গড়ে তোলা হয়েছিল। এই সংক্রমণ থেকে মুক্তিতে দৈব অনুগ্রহের জন্য ওই মন্দির তৈরি করা হয়েছিল গত ৭ জুন। এর কয়েকদিন পর ১১ জুন রাতে মন্দিরটি ভেঙে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ মন্দিরটি ভেঙেছে। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, এটি বিতর্কিত জায়গায় তৈরি করা হয়েছিল এবং বিবদমান কোনও এক পক্ষ তা ভেঙেছে।