নয়াদিল্লি: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ও নোভোভ্যাক্সের কোভোভ্যাক্স -- এই দুই ভ্যাকসিনের পর এবার রাশিয়ার স্পুটনিক ভি উৎপাদন করতে চেয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ডিসিজিআই)-এর কাছে আবেদন করল পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। বর্তমানে দেশের ডক্টর রেড্ডি'জ ল্যাবরেটরিতে উৎপাদিত হচ্ছে স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন। 


ভ্যাকনিন পরীক্ষা ও পর্যালোচনার জন্য ডিসিজিআই-এর অনুমতি চেয়েছে সিরাম। কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেত মিললে তখন জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। 


জুন মাস থেকে প্রতিমাসে ১০ কোটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে সিরাম ইনস্টিটিউট। ইতিমধ্যেই, নোভোভ্যাক্স ভ্যাকসিন উৎপাদন হলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ক্লিয়ারেন্স এখনও আসেনি। 


সম্প্রতি, রাশিয়া থেকে ভারতে প্রায় ৩০ লক্ষ স্পুটনিক ভ্যাকসিনের ডোজ ভারতে এসেছে। সংখ্যার নিরিখে যা ভারতে আমদানি হওয়া যে কোনও বিদেশি ভ্যাকসিনের তৃতীয় বৃহত্তম। বিশেষ বিমানে করে হায়দরাবাদে পৌঁছয় ভ্যাকসিনগুলি। 


কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, অগাস্ট থেকে ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে স্পুটনিক ভ্যাকসিন। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ৬ ভারতীয় সংস্থা এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে। 


দেশে ভ্যাকসিন সঙ্কটের মধ্যে গতকালই মডার্না, ফাইজারের মতো সংস্থাগুলির ভ্যাকসিনকে জরুরি পরিস্থিতিতে ভারতে ব্যবহারের জন্য নির্দেশিকা জারি করল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই।  


আমেরিকা, ব্রিটেন, জাপান, বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি তালিকাভুক্ত ভ্যাকসিনগুলি জরুরি ভিত্তিতে ভারতে ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।  


বিদেশি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি যে আইনি রক্ষাকবচ পেয়ে থাকে, তা এক্ষেত্রেও দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। এর ফলে মডার্না, ফাইজারের ভ্যাকসিন ভারতে ব্যবহারের পথ সুগম হবে। নিয়মমাফিক আর এদেশে ওই ভ্যাকসিনগুলির ট্রায়াল দিতে হবে না।   


আইসিএমআর-এর ডিজি গত পরশু জানান, জুলাইয়ের মাঝামাঝি বা অগাস্টের শুরু থেকে দেশে দিনে এক কোটি মানুষকে দেওয়ার মত ভ্যাকসিনের ডোজ থাকবে সরকারের হাতে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের সব মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।