নয়া দিল্লি : এবার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন। এই পরিস্থিতিতে আদৌ কি ১৫ ডিসেম্বর থেকে কমার্সিয়াল ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট পরিষেবা শুরু করতে পারবে ভারত ? এই প্রশ্নের আজ উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাণিজ্যিকভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে বিমান পরিষেবা আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকেই শুরু করে দেওয়া হবে। করোনা অতিমারীর কারণে গত বছরের ২৩ মার্চ থেকে এই পরিষেবা সাসপেন্ড রয়েছে। এদিকে নতুন করে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
এপ্রসঙ্গে আজ রাজ্যসভায় এক লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানান, বিশ্বজুড়ে টিকাকরণের হার খতিয়ে দেখার পর ১৫ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় উড়ান পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের জেরে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ১৫ ডিসেম্বর কমার্সিয়াল ইন্টারন্যাশনাল প্যাসেঞ্জার সার্ভিস শুরু করার সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় সরকার।
উল্লেখ্য, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই নিয়ে আজ এক সতর্কবার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানিয়ে দেয়, বিশ্বজুড়ে এই ভ্যারিয়ন্টের "উচ্চমাত্রার" ঝুঁকি রয়েছে এবং এর "ফল হতে পারে মারাত্মক"। তবে, এই ভ্যারিয়েন্ট কতটা বিপজ্জনক তা এখনও জানা যায়নি।
WHO বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। তাই প্রত্যেক দেশ যাতে টিকাকরণের হার বাড়িয়ে দেয় সেবিষয়ে আর্জি জানানো হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে।
গত শুক্রবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনকে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন বা উদ্বেগের ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করেছে। ডেল্টা, আলফা, বেটা ও গামার ভ্যারিয়েন্টের ক্যাটেগরিতেই এই ভ্যারিয়েন্টকে রাখা হয়েছে।