নয়া দিল্লি : করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এদিকে এই নিয়ে আজ এক সতর্কবার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানিয়ে দিল, বিশ্বজুড়ে এই ভ্যারিয়ন্টের "উচ্চমাত্রার" ঝুঁকি রয়েছে এবং এর "পরিণতি হতে পারে মারাত্মক"। তবে, এই ভ্যারিয়েন্ট কতটা বিপজ্জনক তা এখনও জানা যায়নি।
WHO বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। তাই প্রত্যেক দেশ যাতে টিকাকরণের হার বাড়িয়ে দেয় সেবিষয়ে আর্জি জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে।
এক বিবৃতিতে WHO-এর তরফে জানানো হয়েছে, ওমিক্রনের প্রচুর সংখ্যক স্পাইক মিউটেশন রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটির মহামারীর গতিপথের ওপর তাদের সম্ভাব্য প্রভাবের সঙ্গে সম্পর্কিত। ওমিক্রনের জেরে যদি আরও একবার সংক্রমণের ঢেউ ওঠে, তাহলে তার পরিণতি হবে মারাত্মক। তবে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। যদিও বিশ্বজুড়ে এই ভ্যারিয়েন্টে ঝুঁকির সম্ভাবনা প্রচুর। টিকার জেরে তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে এই ভ্যারিয়ন্ট কী প্রভাব ফেলছে তা জানার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।
গত শুক্রবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনকে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন বা উদ্বেগের ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করেছে। ডেল্টা, আলফা, বেটা ও গামার ভ্যারিয়েন্টের ক্যাটেগরিতেই এই ভ্যারিয়েন্টকে রাখা হয়েছে।
যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান অ্যাঞ্জেলিক কোয়েজ BBC Sunday-কে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে যে উপসর্গগুলো দেখা যাচ্ছে তা একেবারে মৃদু। ৩৩ বছরের এক পুরুষ রোগীকে দিয়ে এটা শুরু হয়েছে। ওই রোগী তাঁকে জানান, গত কয়েকদিন ধরে তিনি চূড়ান্ত ক্লান্ত বোধ করছিলেন। শরীরে যন্ত্রণা হচ্ছিল, তার সঙ্গে মাথায় ব্যথা। এছাড়া পেশীতেও মৃদু ব্যথা ছিল। শুকনো কাশি। আর কয়েকজনের শুধু উচ্চমাত্রায় জ্বর থেকেছে।