নয়াদিল্লি: বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগতের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়। আদতে বিজেপি নেত্রীকে খুন করা হয়েছে এবং জেরায় সেই খুনের কথা স্বীকার করেছেন তাঁর আপ্তসহায়ক সুধীর সাঙ্গোয়ান (Sudhir Sangwan)। এমনটাই জানা গিয়েছে গোয়া পুলিশের একটি সূত্রে।


খুনের পিছনে কে?
বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগতের (Sonali Phogat) মৃত্যুতে প্রথম থেকেই পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন তাঁর পিএ সুধীন সাঙ্গোয়ান। গোয়া পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় সুধীর স্বীকার করেছেন যে সোনালিকে গুরগাঁও থেকে গোয়ায় নিয়ে আসার ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিনি। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, গোয়ার কোনও শুটিংয়ের পরিকল্পনা ছিল না। সোনালিকে গোয়ায় আনার পিছনে ছিল ষড়যন্ত্র। 


দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা:
গোয়ার পুলিশের একটি সূত্রে পাওয়া খবর, সোনালি ফোগতকে খুনের পরিকল্পনা বহুদিন আগে থেকেই তৈরি করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত (CM Pramod Sawant) এই ঘটনায় দ্রুত চার্জশিট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন সেই রাজ্যের পুলিশকে। গোয়া পুলিশ সূত্রে খবর, এই খুনের ঘটনায় যাবতীয় তথ্য়প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে এবং তা সুধীন সাঙ্গোয়ানকে কাঠগড়ায় তুলতে পর্যাপ্ত। পুলিশের ধারণা, এখন যা পরিস্থিতি তাতে আদালতে এই মামলায় সুধীন সাঙ্গোয়ানকে দোষী প্রমাণিত করা যাবে। সূত্রের খবর, রোহতকে সুধীকর সাঙ্গোয়ানের বাড়িতেও যাবে গোয়া পুলিশ। সেখানে সাঙ্গোয়ানের পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সোনালি ফোগতের ভাই ওয়াতান ঢাকা এবং রিঙ্কু ঢাকা জানিয়েছেন যে তাঁরা গোয়া পুলিশের সাথে কথা বলেছেন এবং পুলিশ জানিয়েছে যে তারা আজ রোহতকে সুধীর সাঙ্গোয়ানের বাড়িতে যাবে।


সিসিটিভি ফুটেজ:
তদন্ত চলাকালীন পুলিশের হাতে এসেছিল গোয়ার একটি ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে দেখা যাচ্ছিল, সোনালি ফোগতকে ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁর আপ্তসহায়ক সুধীর সাঙ্গোয়ান। প্রায় ২ ঘণ্টা সোনালিকে বাথরুমে ফেলে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের। 


সোনালি ফোগতের মৃত্যু ঘিরে প্রথম থেকেই জলঘোলা হয়েছিল। হৃদরোগে মৃত্যু নাকি মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ হয়েছে তা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। ময়নাতদন্তের (Post Mortem Report) রিপোর্টেও উঠে এসেছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সোনালীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। ভারী এবং ভোঁতা জিনিস দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তদন্তকারীরা।


আরও পড়ুন: গত ১ বছরের সর্বোচ্চ স্তরে বেকারত্বের হার, মোদিকে 'অযোগ্য প্রধানমন্ত্রী' বলে খোঁচা ডেরেকের