নয়াদিল্লি: রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করার পথে এটা একটি বড় পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট। 


নাম ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী প্রার্থীদের ফৌজদারি রেকর্ড প্রকাশ করতে হবে বলে রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। 


একইসঙ্গে রাজ্য সরকারগুলিকে ক্ষমতার অপব্যবহার করা থেকে রুখতে সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে থাকা চলা কোনও ফৌজদারি মামলা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া প্রত্যাহার করা যাবে না। 


এর আগে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, হয় নাম ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টা, অথবা প্রথম মনোনয়ন দাখিলের তারিখের ২ সপ্তাহ আগে, সব প্রার্থীকে তাঁদের নামে থাকা ফৌজদারি মামলার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে হবে। আজ দ্বিতীয় বিকল্প হঠিয়ে কেবলমাত্র ৪৮-ঘণ্টার সময়সীমা ধার্য করল শীর্ষ আদালত। 


যে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের প্রার্থীদের ফৌজদারি মামলার বিবরণ ঘোষণা করছে না, তাদের প্রতীক বাতিল করার দাবি নিয়ে  দায়ের হওয়া একটি মামলার আবেদনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে এদিন চলছিল। 


দাখিল হওয়া আবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শীর্ষ আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেগুলি না মানার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হোক। 


সুপ্রিম কোর্ট সেদিনের নির্দেশে বলেছিল, রাজনৈতিক দলগুলিকে ব্যাখ্যা করতে হবে কেন তারা ফৌজদারি মামলা থাকা প্রার্থীদের বাছাই করেছে। 


শীর্ষ আদালত বলেছিল, রাজনৈতিক দলগুলিকে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে থাকা যাবতীয় ফৌজদারি মামলার বিবরণ ও বাছাইয়ের কারণ ব্যাখ্যা করে দলের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। 


এরপর, নির্বাচন কমিশন সবক'টি রাজনৈতিক দলকে নির্দেশ দিয়েছিল, ওই তথ্য খবরের কাগজে ছাপিয়ে প্রকাশ করতে। 


নির্দেশ অনুযায়ী, বিহার নির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের নামে থাকা ফৌজদারি মামলার খতিয়ান প্রকাশ না করার জন্য এর আগে সুপ্রিম কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে সিপিএম ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)। 


শীর্ষ আদালতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, যে দলগুলি আদালতের নির্দেশ অমান্য করবে, তাদের নির্বাচনী প্রতীক বাতিল ঘোষণা করা হবে।