নয়াদিল্লি ও কলকাতা: এবার ইউপিএসসি-র পরীক্ষাতেও উঠে এল বাংলার ভোট-সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ। রচনাধর্মী বিষয়ে লিখতে দেওয়া হল কৃষক আন্দোলন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। ভারতে রাজনীতিই লাভবান পারিবারিক ব্যবসা। এই নিয়ে এক সুরে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল ও সিপিএম।


ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগে রাজ্যের ভূমিকায় তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে। 


কমিশনের রিপোর্ট ত্রুটিযুক্ত এবং কমিটির কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট। এমনই অভিযোগে পাল্টা সরব হয়েছে রাজ্য। এই প্রেক্ষিতে রবিবার হওয়া ইউপিএসসি-র সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের প্রশ্ন ঘিরে বিতর্ক নতুন মাত্রা পেল। 


অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট পদের পরীক্ষায় বাংলার ‘ভোট-সন্ত্রাস’ নিয়ে ২০০ শব্দের রিপোর্ট লিখতে বলা হয়। দিল্লিতে কয়েক মাস ধরে নতুন তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে একাধিক সংগঠন। শুক্রবারই যন্তর মন্তর থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধী সাংসদেরা।


কৃষক আন্দোলনকে সামনে রেখে বাদল অধিবেশনে আরও কাছাকাছি এসেছে বিরোধীরা। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পরীক্ষায় প্রশ্ন রাখা হয়,  "কৃষক আন্দোলন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত।" এর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে প্রবন্ধ লিখতে বলা হয়।


সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের প্রশ্নপত্র ঘিরে বিতর্ক এখানেই থামেনি। রচনাধর্মী প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, "ভারতে রাজনীতিই লাভজনক পারিবারিক ব্যবসা।" এর পাশাপাশি, "দিল্লিতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সঙ্কট"-এর প্রসঙ্গেও রিপোর্ট লিখতে বলা হয়। 


কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় রাজনৈতিক বিষয় কেন? কেন্দ্রের উদ্দেশ্য নিয়ে একসুরে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল ও সিপিএম। দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, স্বয়ংশাসিত সংস্থায় রাজনীতি করা হচ্ছে, এর কঠোর নিন্দা করছি। 


সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, এটা জঘন্য অপরাধ। সমস্ত সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। আমাদের রাজ্য সরকারও মানে না। তাকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র।


যদিও এতে আপত্তির কিছু দেখছেন না কেউ কেউ। ইউপিএসসি-র পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একের পর রাজনৈতিক বিষয়। যা ঘিরে বিতর্ক নতুন মাত্রা পেল।