আমেদাবাদ: রহস্যজনক পানীয়ের (mysterious liquor) 'দাপট' এবার  প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যেও। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের দাবি, তাতে এখনও পর্যন্ত অন্তত ২৮ (28) জনের প্রাণ (dead) গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ওই পানীয় আসলে বিষাক্ত মদ (Hooch)। কারবারিরা জলের সঙ্গে মিথানল (methanol) মিশিয়ে বিষাক্ত পানীয় তৈরি করে পাউচ প্রতি ২০ টাকায় গ্রামবাসীদের বিক্রি করেছিলেন। গুজরাতের (gujrat) বোতাদ জেলার ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে এর মধ্যেই।


তদন্তে যা উঠে এল...
মৃতদের রক্তপরীক্ষায় বিষমদের অস্তিত্ব মিলেছে, সাংবাদিকদের জানান গুজরাত পুলিশের ডিজি আশিস ভাটিয়া। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন), ৩২৮ (বিষপ্রয়োগে অসুস্থ করা)এবং ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বেশিরভাগকেই আটক করেছে পুলিশ, জানান ডিজি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিষমদের এই কারবারে সামিল ছিলেন এক মহিলাও।


কী ভাবে জানা গেল...
বিষয়টি নজরে আসতে শুরু করেছিল সোমবার ভোর থেকে। বোতাদ জেলার রোজিদ শহর এবং লাগোয়া একাধিক শহর থেকে হঠাতই সঙ্কটজনক অবস্থায় একাধিক রোগী সরকারি হাসপাতালে আসতে থাকেন। তার পর থেকে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বোতাদ অঞ্চলের বাসিন্দা ২২ জন। বাকি ৬ জন লাগোয়া আমেদাবাদ জেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া ভাবনগর, বোতাদ এবং আমেদাবাদের বিভিন্ন ক্লিনিকে অন্তত ৪৫ জন ভর্তি। গুজরাত এটিএস এবং আমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চও তদন্তে যোগ দিয়েছে। তবে গুজরাত স্বরাষ্ট্র দফতর এর মধ্যেই ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের জন্য একটি বোর্ড গঠন করেছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে তাদের। 


প্রতিক্রিয়া...
গুজরাত সফরে আসা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বললেন, 'গুজরাত তো ড্রাই স্টেট। তা হলে প্রকাশ্যে মদ বিক্রি হচ্ছে কী ভাবে? কার ফয়দা হচ্ছে এতে? এটা প্রথম বার নয়। সরকার কেন এটা দেখছে না নাকি এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে?'