চেন্নাই : পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের পুনরায় ক্লাস শুরু হয়েছে। তার পর থেকে তামিলনাড়ুতে প্রায় ৪০০ ছাত্র-ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত। এমনটাই জানালেন সেরাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব জে রাধাকৃষ্ণণ। স্বাস্থ্য দফতর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন বলেও জানান তিনি।


একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ইউনিসেফ ও প্রেস ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া যৌথভাবে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে। টপিক ছিল- 'ব্যাক টু স্কুল : চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপারচুনিটিস'। সেখানে বক্তব্য রাখার সময়ই উপরের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য সচিব। তাঁকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুল পুনরায় খোলার পর একাধিক ছাত্র-ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হলেও, পরিস্থিতি অতটাও উদ্বেগজনক নয়। 


তিনি বলেন, বছরের গোড়ার দিকে থানজাভুরের স্কুল কোভিড ক্লাস্টার ছিল। কিন্তু, এখন পরিস্থিতি একই রকম নেই। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামতের ভিত্তিতে পুনরায় স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই কমিটিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথনও ছিলেন। কমিটির পর্যবেক্ষণ ছিল, ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পুনরায় স্কুল খোলার প্রয়োজন। 


এদিকে করোনা অতিমারির আবহেই কেরলের স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক উপস্থিতিতে পরীক্ষা পরিচালনা হচ্ছে। ক্লাস ইলেভেন ও ভোকেশনাল হায়ার সেকেন্ডারির এক লক্ষর বেশি ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় বসেছে। কেরলের জেনারেল এডুকেশনের অধিকর্তা জীবন বাবু সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর, আমরা ক্লাস ইলেভেন ও ভোকেশনাল হায়ার সেকেন্ডারির ছাত্র-ছাত্রীদের আজ থেকে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছি। ১৮ অক্টোবর শেষ হচ্ছে পরীক্ষা। 


আরও পড়ুন ; করোনা আবহেই শারীরিক উপস্থিতিতে ১ লক্ষর বেশি ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষা কেরলে


এছাড়া পয়লা নভেম্বর থেকে কেরলে খুলতে চলেছে স্কুল। এজন্য স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি জানান কেরলের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিবানকুট্টি।