নয়াদিল্লি: আইনি লড়াই, ঘাত-প্রতিঘাত এখন অতীত। মুখোমুখই সাক্ষাতের সম্ভাবনাও আর নেই। রবিবার গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির (Cyrus Mistry)। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন টাটা গোষ্ঠীর (TATA Group) বর্তমান চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরণ (Natarajan Chandrasekaran)। এত কম বয়সে সাইরাসের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করলেন তিনি।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু সাইরাস মিস্ত্রির
রবিবার আমদাবাদ থেকে মুম্বই আসার পথে পালঘরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সাইরাসের গাড়ি। সেই খবর প্রকাশ হতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে শিল্পমহলে। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রী, সকলেই শোকজ্ঞাপন করেছেন সাইরাসের মৃত্যুতে। সাইরাসের মৃত্যুতে এ বার শোকজ্ঞাপন করলেন চন্দ্রশেখরণও।
এ দিন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে চন্দ্রশেখরণ বলেন, ‘সাইরাস মিস্ত্রির আকস্মিক এবং অকাল মৃত্যুতে আমি শোকস্তব্ধ। জীবন নিয়ে উচ্ছ্বাস ছিল ওঁর মধ্যে। এত কম বয়সে ওঁর মৃত্যু সত্যিই দুঃখজনক। এই কঠিন সময়ে ওঁর পরিবারতে গভীর সমবেদনা জানাই। ওঁদের জন্য প্রার্থনা করছি।’
২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাইরাস। রতন টাটার জায়গায় কার্যতই উত্তরাধিকার যায় শাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠীর কর্ণধার, পারোনজি মিস্ত্রির ছোট ছেলে সাইরাসের হাতে। তার আগে টাটায় ডেপুটি চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। প্রায় এক বছর রতন টাটা নিজে তাঁকে সংস্থা পরিচালনা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি কাজ শিখিয়েছিলেন। তবে টাটায় সাইরাস জমানা স্থায়ী হয় মাত্র চার বছরই। টাটাগোষ্ঠী তাঁকে অসপারিত করে। তার পর দুই পক্ষের মধ্যে আইনি লড়াইও চলে।
সাইরাসের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ নটরাজন চন্দ্রশেখরণের
রবিবার আমদাবাদ থেকে মুম্বই ফিরছিলেন সাইরাস। সেই সময় দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ গুজরাত-মহারাষ্ট্র সীমান্তের কাছে, পালঘরে জাতীয় সড়কে চাটোরি সেতুর কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে তাঁর গাড়ি। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। তাতেই মৃত্যু হয়েছে সাইরাসের। দুর্ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে গাড়িটির সামনের অংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাড়ির ভিতরের অবস্থাও প্রায় লন্ডভন্ড। গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে বলে জানা গিয়েছে।