নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত ভারত। বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসাবে ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।
সম্প্রতি, করোনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে,করোনা আক্রান্ত হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দিতে হবে কেন্দ্রকে।
এই পরিস্থিতিতে, কর্মচারীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত করল টাটা স্টিল। দেশের অন্যতম প্রথম সারির এই সংস্থার তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, টাটা স্টিলের কোনও কর্মী কোভিড ১৯ সংক্রমণে মারা গেলে, ৬০ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ অবসর পর্যন্ত ওই কর্মচারীর বেতন প্রতিমাসে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
সম্প্রতি, কোভিডে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের পরিবারের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প বের করেছে সংস্থা। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও কর্মী মারণ ভাইরাসে মারা গেলে,মৃতের ৬০ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত এই গোটা সময়ে তাঁর শেষ বেতন প্রতিমাসে পরিবার বা নমিনিকে দেওয়া হবে।
সংস্থা জানিয়েছে, রোজগেরে মানুষ এভাবে মৃত্যু হলে, পরিবারের সামনে বহুক্ষেত্রে অন্ধকার নেমে আসে। জীবনধারণে প্রচুর সমস্যা হয়। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে এবং পরিবার যাতে সুস্থ ও স্বাভাবিক ও সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারে, সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোশ্যাল মিডয়ায় ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে টাটা স্টিল। সেখানে আরও বলা হয়েছে, শুধু বেতনই নয়, নিহত কর্মীর পরিবার সমস্তপ্রকার মেডিক্যাল ও আবাসন সুবিধাও পাবেন। এছাড়াও বলা হয়েছে, যদি সংস্থার কোনও ফ্রন্টলাইন কর্মী কাজের জায়গায় সংক্রমিত হয়ে মারা যান, তাহলে তাঁর সন্তানদের স্নাতকস্তর পর্যন্ত পড়াশোনার যাবতীয় খরচ বহন করবে সংস্থা।
বলা বাহুল্য, টাটা স্টিলের এই সিদ্ধান্ত ভূয়সী প্রশংসিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই এই ঘোষণা নিয়ে উচ্ছ্বসীত। একজন লিখেছেন, কর্পোরেট দুনিয়াকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, রতন টাটা।
সম্প্রতি, হোটেল গ্রুপ অয়ো ঘোষণা করেছিল, করোনায় তাদের কোনও কর্মীর মৃত্য়ু হলে, পরিবারকে ৮ মাসের বেতন দেওয়া হবে। পাশাপাশি, আগামী পাঁচ বছরের জন্য মৃতের সন্তানের পড়াশোনার খরচ বহন করারও ঘোষণা করে সংস্থা।