হায়দরাবাদ: বহুতল ভবনের নিচে বিদ্যুৎচালিত স্কুটারের শো-রুম। তার উপরে ঝাঁ চকচকে অভিজাত হোটেল। মানুষ জনের আনাগোনায় দিন ভর গমগম করলেও, রাতের অন্ধকারে জতুগৃহের আকার ধারণ করল। আর তাতে প্রাণ হারালেন আট জন। গুরুতর অসুস্থ আরও বেশ কয়েক জন। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়েই এমন পরিণতি বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। রাতের অন্ধকারে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় থমথমে সেকেন্দ্রাবাদ।
সেকেন্দ্রাবাদে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৮
সোমবার গভীর রাতে তেলঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, নিচের তলার ই-স্কুটার শো-রুমে প্রথমে আগুন ধরে বলে। তা থেকে নিমেষে আগুন ছড়িয়ে উপরের রুবি হোটেলের দুই এবং তিন তলায়। সেই সময় হোটেলের দুই এবং তিন তলায় ২৫ জন অতিথি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা মারা গিয়েছেন এবং গুরুতর অসুস্থ যাঁরা, কালো ধোঁয়ায় ঢাকা ঘরে ঢেকে গিয়ে, শ্বাসকষ্টের জেরেই তাঁদের এমন পরিণতি বলে অনুমান স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসনের।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গভীর রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল এবং উদ্ধারকারী দল। তার আগেই যদিও বহুতল থেকে অনেকে ঝাঁপ দিতে উদ্যত হন। উদ্ধারকারীরা পৌঁছে মই দিয়ে কয়েক জনকে নামিয়ে আনেন। উদ্ধারকার্য চালাতে আনা হয় ক্রেনও। উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও।
মঙ্গলবার সকালের মধ্যে পরিস্থিতি যদিও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার সিবি আনন্দ। তবে আতঙ্ক কাটছে না এলাকার মানুষের। বরং এত জনের মৃত্যুতে গোটা এলাকা থমথম করছে। অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হায়দরাবাদের ডেপুটি কমিশনার চন্দনা দীপ্তি জানিয়েছেন, নিচের তলায় যেখানে বিদ্যুৎচালিত-স্কুটারগুলি রাখা ছিল, সেখানেই আগুন ধরে। বিদ্যুৎচালিক স্কুটার ওভারচার্জ হয়েই আগুন ধরে, নাকি আগুনের উৎস অন্য কিছু, যা এখনও নিশ্চিত ভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Gyanvapi Case Timeline: প্রায় আড়াই দশকের আইনি লড়াই, কীভাবে এগিয়েছে জ্ঞানব্যাপী মসজিদ মামলা?