নয়াদিল্লি: মিশনারিজ অফ চ্যারিটির (Missionaries of Charity) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry)। মিশনারিজ অফ চ্যারিটির অ্যাকাউন্ট (Missionaries of Charity) ‘ফ্রিজ’-বিতর্কে দাবি কেন্দ্রের (Union Ministry)। এসবিআই-কে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের জন্য চিঠি পাঠায় এমওসি। জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)। বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে এমওসি-র পুনর্নবীকরণ বাতিল। পুনর্নবীকরণের আবেদনে অসঙ্গতি ছিল মিশনারিজ অফ চ্যারিটির। পুনর্নবীকরণ বাতিলের পর নতুন করে আবেদন জানানো হয়নি। বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।


কেন্দ্রের পর অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’-বিতর্কে বিবৃতি জারি করেছে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের কোনও নির্দেশ দেয়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
কেন্দ্র অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের অভিযোগ নস্যাতের পরই জানাল এমওসি। জানানো হয়েছে, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন সাসপেন্ড হয়নি। বাতিলও হয়নি এমওসি-র বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে রেজিস্ট্রেশন। তবে জানানো হয়েছে, এফসিআরএ পুনর্নবীকরণের আবেদন অনুমোদন পায়নি। সমস্যার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত
চ্যারিটির কেন্দ্রগুলিকে লেনদেন বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  


 









মাদার টেরিজা (Saint Mother Teresa) প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অফ চ্যারিটির (Missionaries of Charity) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের। বড়দিনের আবহে কেন্দ্রীয় এমন সরকারের সিদ্ধান্তে তিনি স্তম্ভিত বলে জানিয়েছেন তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ। তাঁর কথায়, এতে মাদার টেরিজাকে অসম্মান করা হয়েছে।


বড়দিনের আবহে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সমস্ত অ্যাকাউন্ট কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে বলে খবর সামনে আসে, যে খবর ভুল বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এ নিয়ে সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা জানায়, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তারা। তবে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায় না।


যদিও সন্ধ্যা গড়াতে পিআইবি-র তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মিশনারিজ অব চ্যারিটিজের কোনও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি। বিবৃতিতে বলা হয়, 'মিশনারিজ অফ চ্যারিটির অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অ্যাকাউন্ট বন্ধের জন্য এসবিআই-কে চিঠি পাঠায় এমওসি-ই। বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে অনুমোদন বাতিল হয়ে যায়। তার আবেদনে অসঙ্গতি ছিল। বাতিল হওয়ার পর নতুন করে আবেদন জানানো হয়নি'। তবে দিন ভর এই নিয়ে টানাপড়েনে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান রাজনীতিকরা।