নয়াদিল্লি: নতুন বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতেই করোনাভাইরাস অতিমারির তৃতীয় ঢেউ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছবে বলে ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কানপুর (আইআইটি-কানপুর)-এর একটি মডেলিং সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে।  উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশে ত্রাসের সঞ্চার করেছিল।  তখন থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল, এবার কী তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে দেশে? সেই ঢেউ কতটা মারাত্মক হতে পারে?  কানপুর আইআইটির এই মডেলিং সমীক্ষায় ধরে নেওয়া হয়েছে যে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দাপটে সারা বিশ্বজুড়ে আক্রান্তর সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে বাড়তে পারে ভারতেও।  গত ২১ ডিসেম্বর প্রকাশিত এই সমীক্ষা রিপোর্টের ক্ষেত্রে তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্বানুমানের বিষয়ে গউসিয়ান মিক্সচার মডেল নামে পরিসংখ্যানগত টুল ব্যবহার করা হয়েছে। এই মডেলিং সমীক্ষার  অবশ্য পিয়ার-রিভিউ এখনও হয়নি।


সমীক্ষায় গবেষকরা আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি ও রাশিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করেছেন। এই দেশগুলিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে।  গবেষকরা ভারতে তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব ও সময়সীমার পূর্বাভাস দিতে গিয়ে ওই দেশগুলির দৈনিক তথ্য মডেল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সেইসঙ্গে সমীক্ষায় সময়ের ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনা করে ভারতের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের তথ্যাবলীও ব্যবহার করা হয়েছে।


ওই মডেলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যে, ভারতের কোভিড-১৯ অতিমারীর তৃতীয় ঢেউ শিখর স্পর্শ করবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে। সমীক্ষাপত্রে বলা হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করবে ২০২১-এর ১৫ ডিসেম্বর থেকে। এরপর তৃতীয় ঢেউ চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছবে আগামী বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি।  গবেষকরা এই সমীক্ষায় উল্লেখ করেছেন যে, দেশে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে, এবং বিশ্বে যে প্রবণতা চলছে, তা এখানেও চলবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে গবেষণায় বলা হয়েছে যে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে চূড়ান্ত পর্বে কতজন আক্রান্ত হবে, তার সঠিক সংখ্যা অনুমান করা সম্ভব নয়। কারণ, এতে জনসংখ্যার করোনা টিকাকরণের তথ্য বিবেচনা করা হয়নি।


সমীক্ষক দলে ছিলেন সবারা প্রসাজ রাজেশভাই, শুভ্র শংকর ধর, শালাভ। তাঁরা সবাই আইআইটি কানপুরের অঙ্ক ও পরিসংখ্যান বিভাগের। গবেষকরা বলেছেন, টিকাকরণ অভিযান কেন্দ্র সরকারের ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু ১০০ শতাংশ কার্যকারিতায় পৌঁছনোর ক্ষেত্রে তা সময়সাপেক্ষ।