নয়াদিল্লি: শীর্ষ আদালতের বিচারপতি নিয়োগের জন্য মঙ্গলবার ন'টি নাম অনুমোদন করেছে সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম।
এই ন'জনের তালিকায় রয়েছেন তিন মহিলা। আবার এই তিনজনের মধ্যে রয়েছেন কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্নর, যিনি সুপ্রিম কোর্টে উন্নীত হলে ২০২৭ সালে দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হতে পারেন।
বিচারপতি নাগরত্ন ছাড়াও, পাঁচ সদস্যের কলেজিয়াম দ্বারা নির্বাচিত অন্য দুই মহিলা বিচারপতি হলেন বিচারপতি হিমা কোহলি, যিনি তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী, যিনি বর্তমানে গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি।
এছাড়া, সিনিয়র অ্যাডভোকেট পিএস নরসিংহকে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে সরাসরি নিয়োগের জন্য বাছাই করেছে কলেজিয়াম। বিচারপতি রোহিনটন এফ নরিমানের অবসরের এক সপ্তাহেরও কম সময়ে নরসিংহর জন্য সুপারিশ আসে। তিনি ভারতের আইনি ইতিহাসের পঞ্চম আইনজীবী যিনি বার থেকে সরাসরি নিযুক্ত হলেন।
কলেজিয়ামের দ্বারা চূড়ান্ত করা নামগুলির মধ্যে রয়েছে বিচারপতি অভয় শ্রীনিবাস ওকা (কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি), বিক্রম নাথ (গুজরাত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি), জিতেন্দ্র কুমার মহেশ্বরী (সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি), সিটি রবিকুমার (কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি) এবং এমএম সুন্দরেশ (কেরালা হাইকোর্টে বিচারপতি)।
এই নয় বিচারপতির মধ্যে তিনজনই সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের মেয়াদকালে দেশের প্রধান বিচারপতি হতে পারেন। যার মধ্যে বিচারপতি নাগরত্নও আছেন যিনি ২০২৭ সালে এক মাসের সময়ের জন্য হলেও প্রধান বিচারপতির পদে আসীন হতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্টের এই কলেজিয়ামের সদস্য ছিলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি উদয় ইউ ললিত, বিচারপতি এএম খানবিলকর, বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও।
গত ২১ মাসে এটিই প্রথম কলেজিয়াম যেখানে পাঁচজন সিনিয়র বিচারপতি শীর্ষ আদালতে নিয়োগের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নাম অনুমোদন করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পেরেছেন।
২০১৯ সালে নভেম্বরে দেশের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে রঞ্জন গগৈর অবসরের পর থেকে কলেজিয়াম কেন্দ্রীয় সরকারকে শীর্ষ আদালতে নিয়োগের জন্য একটিও সুপারিশ পাঠায়নি। গত ১২ অগাস্ট বিচারপতি নরিমনের প্রস্থানের পর বর্তমানে নয়টি শূন্যপদ রয়েছে শীর্ষ আদালতে।