প্রসেনজিৎ সাহা, আগরতলা: ভোররাতে কালবৈশাখীর (Kalbaishakhi) তাণ্ডব। সঙ্গে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। তাতেই লন্ডভন্ড ত্রিপুরার (Tripura Kalbaishakhi) বিস্তীর্ণ এলাকা। বহু বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে সেখানে। উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা। তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে একাধিক এলাকা। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আগরতলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব
কালবৈশাখী আছড়ে পড়ায় বিপর্যস্ত রাজধানী আগরতলা (Agartala News)। সেখানে একটি বাড়ির সামনে গাছ ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন দু’জন। তাঁদের জিবি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনা স্থলে মহকুমা প্রশাসনিক আধিকারিকরা পৌঁছে রাস্তা যাতায়াতের উপযুক্ত করে তোলেন।
অন্য দিকে, উদয়পুর কেবিআই স্কুল মাঠে গোমতী জেলা ভিত্তিক বইমেলা (Book Fair) চত্বরে ১৬টি স্টল ভেঙে গুঁড়িয়ে যায় কালবৈশাখীর ঝড়ে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যাবসায়ীরা। উদয়পুর পুরপরিষদের চেয়ারম্যান শীতল মজুমদার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
এর আগে, বাংলার উপর দিয়েও কালবৈশাখী বয়ে গিয়েছে। তাতে কোচবিহারে দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। ঘুঘুমারি ও মোয়ামারিতে মারা যান ওই দু’জন। জানা গিয়েছে, ঝড়ে উড়ে আসা টিনের আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁদের মধ্যে এক তরুণের। মোয়ামারী গ্রাম পঞ্চায়েতের জাহাঙ্গীর আলম নামে ওই তরুণের বয়স ছিল ১৯ বছর। আহত অন্তত ২০। ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।
বাংলার কোচবিহারেও কালবৈশাখী আছড়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই
কালবৈশাখীর তান্ডবে কোচবিহারে অন্তত ৫ হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন বিস্তীর্ণ এলাকায়। জায়গায় জায়গায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন দলে দলে মানুষ। তাঁদের তাকা-খাওয়া সব এখন ওই ত্রাণ শিবিরেই চলছে। ঝড়ের রাতে কোনও রকমে প্রাণ হাতে করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন ওই সমস্ত মানুষ। তাঁদের শেষ সম্বলটুকুও ঝড়ের মুখে গিয়েছে।