আগরতলা: ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাণ্ডব! রক্তাক্ত ত্রিপুরার খোয়াই জেলার শেওড়াতুলি। একের পর এক নিজের দুই সন্তান সহ পাঁচজনকে কুপিয়ে খুন করল এক ব্যক্তি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশ অফিসার ও অটো চালকও। ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখমও হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।  


ত্রিপুরার খোয়াই জেলায় নৃশংসভাবে খুন হলেন একই পরিবারের দুই শিশু ও পুলিশ অফিসার-সহ ৫ জন। আহত হন বেশ কয়েকজন। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খোয়াই জেলার উত্তর রামচন্দ্র ঘাটের শেওড়াতুলিতে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রদীপ দেবরায় নামে এক ব্যক্তি প্রথমে তার দুই সন্তানকে কুপিয়ে খুন করে। এরপর স্ত্রীকেও খুনের চেষ্টা করে অভিযুক্ত। এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে ধারাল অস্ত্র নিয়ে এলাকায় তাণ্ডব চালায় ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, চলন্ত অটো থামিয়ে চালককে খুন করে। খবর পেয়ে টিএসআর জওয়ানদের নিয়ে ওই এলাকায় যান খোয়াই থানার সেকেন্ড অফিসার সত্যজিৎ মল্লিক। ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপরেও চড়াও হয় অভিযুক্ত। পুলিশ অফিসারকেও কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। পরে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশ। আপাতত হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আটক ব্যক্তি। কী কারণে এমন নৃশংসকাণ্ড ঘটাল ওই ব্যক্তি, তার মানসিক সমস্যা রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


পুলিশ অফিসারের মৃত্যুতে শোকবিহ্বল, হতচকিত তাঁর সহকর্মীরা। মৃত পুলিশ আধিকারিকের দেহ হাসপাতালে রাখা হয়। সেখানে তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে চলে আসেন তাঁর সহকর্মীরা। ঘটনার নৃশংসতা ও আকস্মিকতা প্রত্যেককে হতভম্ব করে দেয়। 


অভিযুক্ত পেশায় রাজমিস্ত্রি বলে জানা গেছে। গতকাল রাতেই তাকে ধরে ফেলা হয়। 


ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি ভিএস যাদব বলেছেন, ওই রাজমিস্ত্রী হিংস্র হয়ে উঠে প্রথমে নিজের পরিবারের লোকজনকে আক্রমণ করে। তার আক্রমণে এক পুলিশ অফিসার সহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন অভিযুক্তের দাদাও। এই ঘটনায় সমগ্র এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।