প্রসেনজিৎ সাহা ও অর্ণব মুখোপাধ্যায়, আগরতলা : আজ ত্রিপুরা পুরভোটের গণনা। গণনাকেন্দ্রে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। আগরতলা কর্পোরেশন, ১৩টি পুরসভা ও ৬টি নগর পঞ্চায়েতের ভোটগ্রহণ হয় বৃহস্পতিবার। তার মধ্যে ৭টিতে ইতিমধ্যেই বিনা লড়াইয়ে জিতে গেছে বিজেপি।


তেইশের বিধানসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল। ত্রিপুরা পুরভোটের ফলাফলের দিকে নজর এখন গোটা দেশের। বিধানসভা ভোটের মতো পুরভোটেও কি দাপট দেখাবে বিজেপি ? প্রথমবার লড়ে চমক দেবে তৃণমূল ? নাকি, গড় রক্ষা করতে পারবে বামেরা ? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে রবিবার। 


বৃহস্পতিবার পুরভোটের দিন আগরতলার একাধিক ওয়ার্ডে আক্রান্ত হয় বিরোধীরা। ছাপ্পা ভোট, বুথ দখল থেকে শুরু করে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে, রবিবার সকাল আটটা থেকে ১৬টি কাউন্টিং সেন্টারে শুরু হবে ভোটগণনা। গণনাকেন্দ্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। গণনাকেন্দ্রের বাইরে থাকছে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস ও রাজ্য পুলিশ। কাউন্টিং হলের মধ্যে থাকবে CRPF। কাউন্টিং হল থেকে গণনা কেন্দ্রের বাইরে পর্যন্ত থাকছে BSF ও CRPF। 


আজ আটটা থেকে গণনা শুরু হবে। ত্রিপুরা পশ্চিমের জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন বলেন, যাবতীয় ব্যবস্থা চূড়ান্ত, কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী সব ব্যবস্থা করেছি। তিনটে কাউন্টিং হলে ১০টি করে টেবিল থাকবে।


ভোটের আগেই ১১২টি আসনে বিনা লড়াইয়ে জিতে গেছে বিজেপি। তার ফলে পাঁচটি পুরসভা ও দু’টি নগর পঞ্চায়েত ইতিমধ্যে হাতে এসেছে গেরুয়া শিবিরের। আগরতলা কর্পোরেশন এবং ১৩টি পুরসভা ও ৬টি নগর পঞ্চায়েতের ২২২টি আসনে ভোট হয়েছে। লড়াই হয়, আগরতলা কর্পোরেশনের ৫১টি আসনে। গণনার সময় নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।


তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সুস্মিতা দেব বলেন, কমিশন বিজেপির জন্য কাজ করছে। বিজেপি আরও কাউন্টিং এজেন্টের আই কার্ড ইস্যু করেছে।


এদিকে পুরভোটে বেশ কিছু আসনে বামেদের তরফে পুনর্গননার দাবি জানানো হয়েছে। প্রতিবাদ জানাতে, সাতটি গণনাকেন্দ্রে থাকবে না বামেরা। কর্মীদের প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে বিজেপি।