আগরতলা: পুরভোটের আগে রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত ত্রিপুরা। গতকাল তৃণমূলের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত রয়েছে। গতকাল দীর্ঘ জেরার পর তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করা হয় খুনের চেষ্টার অভিযোগে। এদিন আগরতলায় বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আগরতলায় অভিষেক তৃণমূলকে ত্রিপুরায় বিজেপির একমাত্র প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপি রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চালাচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সিপিএম কিংবা কংগ্রেস নয়, যে হাত গুটিয়ে বসে থাকবে।


ত্রিপুরার প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি জারি করেছে। সেইসঙ্গে থানার বাইরে তৃণমূল নেতা কর্মীদের ওপরও হামলার নিন্দা করে সিপিএম।


সিপিএমের এই নিন্দা সম্পর্কে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানতে চাওয়া হলে অভিষেক বলেছেন, সিপিএম নিন্দা করেছে, তা স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু খুশি হতাম রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করলে। লড়াইটা ভার্চুয়াল নয়। মাঠে নেমে লড়াই করতে হয়। যেমন তৃণমূল করছে।


অভিষেক আরও বলেছেন,  এটা স্পষ্ট যে সিপিএম বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা রাখে না। কংগ্রেসেরও বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা নেই। যদি থাকত তাহলে সিপিএম বা কংগ্রেস বাড়িতে বসে থাকত না। বিরোধীদের কাজ গঠনমূলক বিরোধিতার মাধ্যমে মানুষের ইস্যুগুলি তুলে ধরা। কিন্তু তৃণমূল আসার আগে এই কাজ সঠিকভাবে হয়নি।


তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সিপিএম হোক বা কংগ্রেস, ত্রিপুরাকে রক্ষা করতে একজোট হতে হবে। তৃণমূলের হাত শক্তিশালী করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে একটি উন্নয়নমুখী,গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল সরকার গঠন করতে হবে।


এদিন অভিষেক বলেছেন, ‘দমন-পীড়নের ঘটনায় রোজ রেকর্ড ভাঙছে বিজেপি। ত্রিপুরায় রাজনৈতিক দল থেকে সাংবাদিক আক্রান্ত। ত্রিপুরায় থানায় একদিনে ২ বার আক্রমণ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার রক্ষাকারীদের এই অবস্থা হলে বাকিদের নিরাপত্তা কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ইন্ধনে হেলমেট পরে গুন্ডাবাহিনীর হামলা চলেছে। কারও মাথা, কারও কোমরে আঘাত, মিডিয়াকেও ছাড়া হয়নি।’