নয়া দিল্লি: কেন্দ্র-ট্যুইটারের সংঘাত তুঙ্গে। এবার ভারত সরকারের (Central Goverment) বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম (Microblogging Platform) ট্যুইটার (Twitter)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত সরকার ট্যুইটারে বেশ কিছু কনটেন্ট ব্লক (Content Block) করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর থেকেই শুরু হয়েছে দু’পক্ষের যুযুধান লড়াই। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে, ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রের এই কনটেন্ট ব্লক করার বিষয়ে একটি বিচারবিভাগীয় পর্যালোচনা দাবি করেছে। আর তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে ভারত সরকারের সঙ্গে ট্যুইটারের কর্তৃপক্ষের মতবিরোধ কতটা তীব্র।
ভারতে সরকার গত একবছরে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে একটি স্বাধীন শিখ রাজ্যের সমর্থনকারীদের অ্যাকাউন্ট, কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে ভুল তথ্য দেওয়া পোস্ট, করোনা অতিমারি পর্যায়ে কেন্দ্র সরকার যেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে সেই প্রসঙ্গে সমালোচনা করে ট্যুইট--- এইসবের উপর পদক্ষেপ নিতে বলেছিল। এমনকি গত মাসের শেষের দিকে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে এও বলা হয়েছিল যে নির্দিষ্ট নির্দেশগুলি না মানলে তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবার কেন্দ্রীয় সরকারের এই হুঁশিয়ারির পাল্টা আদালতে গিয়েছে ট্যুইটার সংস্থা। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কর্ণাটক উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ট্যুইটার মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। তাদের অভিযোগ, বেশ কিছু এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেখানে ট্যুইট অথরদের কোনও নোটিস দেয়নি সরকার। এছাড়াও এমন কিছু ট্যুইটার পোস্টের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ দিয়েছে যা একেবারেই রাজনৈতিক পোস্ট এবং তা করা হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিশিয়াল হ্যান্ডেল থেকে। এর পাশাপাশি ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ এও জানিয়েছে এভাবে কনটেন্ট ব্লক করে হলে বাকস্বাধীনতার লঙ্ঘন করা হবে।
এর আগেই ট্যুইটারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল ৪ জুলাইয়ের মধ্যে কেন্দ্রের দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে মানতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার সেই হুঁশিয়ারির বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ট্যুইটারের সংঘাত আর কতদূর গড়াবে তা সময়ই বলবে।
আরও পড়ুন- তছরুপের অভিযোগ, ইডি-র নজরে Vivo, দেশের ৪৪ জায়গায় তল্লাশি