নিউ দিল্লি: বেশ কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টির দাপট শুরু হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরে। যত সময় গড়িয়েছে তা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল। এবার জম্মু-কাশ্মীরের কিশতোয়ারে ভয়াবহ মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে তলিয়ে গেল বহু বাড়ি। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের, নিখোঁজ ৪০। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন সূত্র।


বুধবার ভোরে কিশতোয়ার জেলার হোনজার গ্রামে যে সময় এই বিপর্যয় নেমে আসে সেই সময় গ্রামবাসীরা ছিলেন নিদ্রারত। তাই এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়বে এমনটাই জানান হয়েছে। পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কথায়, "মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে প্রচুর ঘরবাড়ি ধুয়ে সাফ হয়ে গেছে। নিখোঁজ প্রায় ৪০ ছাড়িয়েছে। বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যাও।" 


উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে উপত্যকার এই গ্রামে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, রাজ্য বিপর্যয় বাহিনী এবং সেনাবাহিনী এর দলগুলি ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজের চেষ্টা করছেন। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এই ঘটনার পরই সুরক্ষা ও পরিস্থিতি নিয়ে এলাকার উচ্চপদস্ত অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। 


স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানান হয়েছে এই অঞ্চলে কোনও সড়ক ব্যবস্থা নেই। মোবাইল যোগাযোগ নেই। এর মধ্যেই অবিরাম বৃষ্টি হয়েছে চলেছে। এই ঘটনার পর টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, "কেন্দ্রীয় সরকার কিশতওয়ার এবং কারগিলের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে সকলকে সাহায্য দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে । আমি প্রত্যেকের নিরাপত্তা ও মঙ্গল কামনা করি। "


টুইট করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। জম্মু কাশ্মীরের উপ রাজ্যপালের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। অমিত শাহ লেখেন, “আমি এ বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং ডিজিপির সঙ্গে কথা বলেছি। এসডিআরএফ, সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার কাজ করছে। এনডিআরএফও সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে। আমাদের অগ্রাধিকার হ'ল যত সম্ভব জীবন বাঁচানো। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।"