নয়াদিল্লি: মোদি সরকারের এবারের বাজেটে মধ্য়বিত্ত অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছে। কিন্তু, বাজেট নিয়ে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি থেমে নেই। বিরোধীরা একযোগে বাজেট নিয়ে, কেন্দ্রের সমালোচনায় সুর চড়িয়েছে। অন্য়দিকে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) বক্তব্য়, এই বাজেট স্বপ্নপূরণের বাজেট (Budget 2023 Reaction)।
বিরোধীরা একযোগে বাজেট নিয়ে, কেন্দ্রের সমালোচনায় সুর চড়িয়েছে
এ বারের বাজেটে চওড়া হয়েছে মধ্য়বিত্তের মুখের হাসি। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে নতুন আয়কর কাঠামোয় বিপুল ছাড় দিয়েছে মোদি সরকার। নতুন কাঠামোয় বার্ষিক ৭ লক্ষ অবধি আয়ে মিলবে ছাড়। এ ছাড়াও বাজেটে প্রবীণ এবং মহিলাদের জন্য়ও করা হয়েছে একগুচ্ছ ঘোষণা।
সাধারণ মানুষ যখন বাজেটের পর লাভ-ক্ষতির অঙ্কে ব্য়স্ত, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্য়ে শুরু হয়ে গেছে বাজেট নিয়ে বাগযুদ্ধ। মোদি সরকারের দাবি এই বাজেট স্বপ্নপূরণের বাজেট। যদিও, বাজেট নিয়ে চড়়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছে কংগ্রেসও।
বুধবার সংসদে বাজেট পেশ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, "অমৃতকালের প্রথম বাজেট দেশের উন্নয়নের ভিত মজবুত করবে। সমাজে দরিদ্র, মধ্যবিত্ত কৃষকের স্বপ্নপূরণের পথে সহায়ক হবে এই বাজেট।" কিন্তু মোদি বাজেটের দরাজ প্রশংসা করলেও, সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: Adani FPO: কারচুপির অভিযোগে উত্তাল বাজার, বাজেটের দিনই FPO তুলে নিল আদানি গোষ্ঠী
বাজেট নিয়ে গতকালই সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "এই বাজেট মোটেও দূরদর্শী নয়। আসলে এই বাজেট সুবিধাবাদীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এতে আশার আলো নেই। অন্ধকারের অমাবস্যা আছে। পুরোপুরি দরিদ্র বিরোধী বাজেট হয়েছে এ বার।" মমতা আরও বলেন, "বাজেটে গরিব মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা হয়েছে। এমন বাজেটকে ধিক্কার জানাি। কী করে গরিব লোকের বাজেট করতে হয় জানি। আমাকে দিলে ৩০ মিনিটে করে দিতাম।"
মোদি সরকারের বাজেট নিয়ে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেসও। রাহুল গান্ধী কটাক্ষের সুরে ট্য়ুইট করেছেন, 'মিত্র কালের বাজেটে কর্মসংস্থান তৈরির দিশা নেই, মূল্য়বৃদ্ধি মোকাবিলার পরিকল্পনা নেই, বৈষম্য় ঘোচানোর কোনও ইচ্ছা নেই। ১ শতাংশ ধনীর কাছে ৪০ শতাংশ সম্পদ, ৫০ শতাংশ গরিব ৬৪ শতাংশ জিএসটি দেয়, ৪২ শতাংশ তরুণ-তরুণী বেকার। তা-ও প্রধানমন্ত্রী পরোয়া করেন না। এই বাজেট প্রমাণ করল, ভারতের ভবিষ্য়ৎ গঠনের রূপরেখা সরকারের কাছে নেই'।
বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "বড় বড় শব্দ আছে। মানুষকে আরও একবার ঠকানোর বাজেট। মানুষকে মোহজালে আটকাতে চাইছে। হবে আর হবে শুনে গেলাম, হলটা কী! কোনওটা বলঠে ২০২৫ সালে হবে, কোনওটা বলছে ২০৪৭-এ হবে। এখন কী হবে! এই প্রথম শুনলাম বাজেটে কৃষকদের নিয়ে কিছু নেই।"
'আমাকে দিলে ৩০ মিনিটে করে দিতাম', বাজেট নিয়ে বললেন মমতা
যদিও বিজেপি-র সর্বভারতী. সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "প্রত্যেক বিষয়েই বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে। সবের সুফল আজ পাচ্ছে। ভয়ে বলছে। মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।" তবে দিলীপ কটাক্ষ করলেও, সমালোচনা থেমে নেই।