নয়া দিল্লি : গোর্খা-ইস্যু নিয়ে এবার বৈঠক কেন্দ্রের তরফে। গোর্খাদের সমস্যার কীভাবে সমাধান করা যায়- তা নিয়ে মঙ্গলবার একটি বৈঠক হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে। নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসে বিকেল ৪টেয় ওই বৈঠক শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই ও স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লাও। 


এর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও বিজেপি নেতা। ছিলেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা, দার্জিলিং ও কালিম্পঙে বিজেপি-র শরিক সঙ্গীরা। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এই বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কেন্দ্র এই সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাইছে বলে মনে হচ্ছে। ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় থেকে গোর্খাদের পৃথক রাজ্যের দাবি ১০০ বছরের বেশি পুরনো।   


এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি 'সংকল্প পত্র'-য় এই সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছিল। এর পর বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা দার্জিলিং আসন থেকে জয়লাভ করেন। যদিও তার পর থেকে এই সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান কী হবে তা এখনও খোলসা করেনি বিজেপি- পৃথক রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নাকি অন্য কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থা - তা এখনও স্পষ্ট নয়। যার ফলে বিরোধীদের তরফে এই ইস্যুতে চাপ রয়েছে। 


২০১৭ সালের ৮ জুন মাসে, দার্জিলিঙে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিন, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে কার্যত জঙ্গি আন্দোলন শুরু করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। যার জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পাহাড়। নষ্ট করা হয় কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি। মাসের পর মাস বনধে স্তব্ধ হয়ে থাকে পাহাড়ের যাবতীয় কাজকর্ম। এর মধ্যে পাহাড় থেকে উধাও হয়ে যান বিমল গুরুং। পাহাড়ে অশান্তির ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রুজু হয়। ২০১৭ সালের ১৭ জুন সিংমারিতে সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাতেও বিমল গুরুং ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়। সেবছরই ১৩ অক্টোবর গুরুংকে ধরতে গিয়ে খুন হন সাব-ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিক। সেই মামলাতেও অভিযুক্ত বিমল গুরুং। মামলার পাহাড় জমে থাকলেও গ্রেফতার করা দূরে থাক, তাঁকে খুঁজেই পায়নি রাজ্য পুলিশ। বিধানসভা ভোটের মুখে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসে তৃণমূলের হাত ধরে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেন গুরুং।