নয়াদিল্লি : উত্‍সবের মধ্যেই দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এক পাকিস্তানি জঙ্গিকে গ্রেফতার করল। দিল্লি পুলিশ সূত্রে দাবি, লক্ষ্মীনগর এলাকা থেকে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুয়ো নথি দিয়ে সে ওই এলাকায় গত ১৫ বছর ধরে বসবাস করছিল।  তার কাজ ছিল, এদেশে আসা জঙ্গিদের অর্থ, অস্ত্র, আস্তানার জোগান দেওয়া।  পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত জঙ্গি স্লিপার সেলের মাথা। নাশকতার উদ্দেশ্যেই সে ঘাঁটি গেড়ে ছিল। পাওয়া গিয়েছে একে ৪৭, হ্যান্ড গ্রেনেড, বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি প্রভৃতি।   উত্‍সবের সময় জঙ্গি কার্যকলাপের আশঙ্কায় জারি হয়েছে বিশেষ সতর্কতা।  বিভিন্ন এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান।  


গত রবিবার উৎসবের মরসুমে রাজধানীতে জঙ্গি হানার আশঙ্কা করে দিল্লি পুলিশের তরফে শুরু হয় বিশেষ তত্পরতা। এই নিয়ে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানা।






সূত্রের খবর, সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সূত্র সন্ধানে লোকাল সোর্সকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় সাইবার কাফে, রাসায়নিকের দোকান, পার্কিং এরিয়া ছাড়াও যারা পুরনো গাড়ি কেনাবেচা করে, তাদের ওপর কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, পেট্রোল পাম্প অথবা তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বড়সড় নাশকতার ছক রয়েছে জঙ্গিদের। বিভিন্ন জায়গায় ভাড়াটে ও শ্রমিকদের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে দিল্লি পুলিশকে। 


অন্যদিকে, শারদোৎসবের মধ্যেই জঙ্গি হামলার আশঙ্কা মাথায় রেখে সতর্ক হয়েছে এই রাজ্যও। রাজ্যর তরফে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর। পুলিশ-প্রশাসনের সমস্ত স্তর ও বিভিন্ন এজেন্সিকে সতর্ক করা হয়েছে। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে এইসময় সতর্ক থাকতে হবে। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের নতুন নির্দেশিকায় তাত্পর্যপূর্ণ বিষয় হল, এবার পুজো মণ্ডপে বেশি সংখ্যায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ, এই স্বেচ্ছাসেবকরা যেন বিশেষভাবে সতর্ক থাকেন। সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লেই অবিলম্বে তা পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে নতুন নির্দেশিকায়। 


এই পরিস্থিতিতেই ফের অশান্ত উপত্যকা। উৎসবের আবহে রক্তে ভিজল কাশ্মীরের মাটি। পুঞ্চে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল এক সেনাকর্তা এবং চার জওয়ানের। অনন্তনাগ এবং বান্দিপোরায় সেনার গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গিদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে, সোমবার সকালে সুরানকোটে অভিযান চালায় সেনা। তখনই তাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। জবাব দেয় সেনাও। দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলে। গুলির লড়াইয়ে সেনার জুনিয়র কমিশনড অফিসার এবং চার জওয়ানের মৃত্যু হয়।