নয়াদিল্লি: সরকারের তরফে খামতি নেই প্রচারে (Home Ministry Survey)। কিন্তু মেয়েদের বাল্যবিবাহে (Child Marriage) ইতি পড়েনি। কেন্দ্রের তরফে এমনই পরিসংখ্যান সামনে এল। মেয়েদের বাল্যবিবাহে দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ঝাড়খণ্ড। বাংলার পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বয়স ২১ পেরনোর আগেই বাংলার ৫০ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় বলে দাবি করা হয়েছে ওই পরিসংখ্যানে (Legal Age of Marriage)।
মেয়েদের বাল্যবিবাহ নিয়ে উদ্বেগের খবর
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ রেজিস্ট্রার জেনারেল অ্যান্ড সেনসাস কমিশনারের তরফে যে সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তাতেই এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, গোটা দেশে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে বিয়ে হয়ে যায় যত মেয়ের, তার মধ্যে ঝাড়খণ্ডেই ৫.৮ শতাংশ ঘটনা ঘটে। ওই পরিসংখ্যানে কেন্দ্র জানিয়েছে, জাতীয় স্তরে বয়স ১৮ পেরনোর আগে বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়ের হার ১.৯ শতাংশ। কেরলে এই হার ০.০ শতাংশ। এই হার ৫.৮ শতাংশ ঝাড়খণ্ডে।
ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ এলাকায় বাল্যবিবাহের হার ৭.৩ শতাংশ। শহরাঞ্চলে ৩ শতাংশ বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটে। দেশের কোন রাজ্যের জনসংখ্যা কত, এর মধ্যে কত শতাংশ মহিলা শারীরিক ভাবে মা হওয়ার উপযুক্ত, তাঁদের আয়ুকাল কত, এই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য খতিয়ে দেখে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম। ২০২০ সালে এই সমীক্ষা চালানো হয়। তার রিপোর্ট সামনে আনা হয় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে।
আরও পড়ুন: EPFO Update: পিএফ অ্যাকাউন্টের 'ইউএএন' নম্বর ভুলে গেছেন ? ঘরে বসেই জেনে নিতে পারবেন এই উপায়ে
এই তালিকায় বাংলার নামও উঠে এসেছে। পরিসংখ্য়ানে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ দু'টি মাত্র রাজ্য, যেখানে বয়স ২১ হওয়ার আগেই অর্ধেকের বেশি মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। গোটা দেশে এর গড় হার যেখানে ২৯.৫ শতাংশ, সেখানে ঝাড়খণ্ডে মেয়েদের বাল্যবিবাহের হার ৫৪.৬ শতাংশ।বাংলার ক্ষেত্রে বয়স ২১ পেরনোর আগে ৫৪.৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়।
ঝাড়খণ্ড এবং বাংলার উল্লেখ কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার সিদ্ধান্ত নেয় সম্প্রতি। দেশের সংসদে সেই বিলটি পাস হয়ে গেলেও, বিরোধীদের আপত্তিতে বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়। বিরোধীদের দাবি, শুধু বয়স বাড়ালেই বাল্যবিবাহ আটকানো সম্ভব নয় বলে গোড়া থেকেই সওয়াল করে আসছে বিরোধীরা। তার মধ্যেই এই পরিসংখ্যান সামনে আসায় বাড়ছে উদ্বেগ।