লখনউ: আজ থেকে উত্তরপ্রদেশে প্রত্যাহার করা হচ্ছে কোভিড লকডাউন। সব জেলায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৬০০-র নীচে নামার পরই, লকডাউন প্রত্যাহার করার ঘোষণা করে যোগ আদিত্যনাথ প্রশাসন। 


গতকাল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে রাজ্য প্রশাসনের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানেই রাজ্যজুড়ে কারফিউ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 


এর ফলে, আজ থেকে লখনউ থেকে শুরু করে মেরঠ, শাহারানপুর ও গোরক্ষপুর থেকে কারফিউ উঠে যাচ্ছে। এর আগে, ৭২টি জেলা থেকে আগেই প্রত্যাহার করা হয়েছিল লকডাউন। 


তবে, প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রাত্রিকালীন নিষেধাজ্ঞা এখনই তোলা হচ্ছে না। অর্থাৎ, সন্ধ্যে ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। 


কোভিড-সংক্রমণের সংখ্যা কমার পেছনে প্রশাসনের নজরদারি দায়ী বলে মনে করছে অনেকেই। করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় বিভিন্ন নজরদারি কমিটি গঠন করেছে যোগী প্রশাসন। 


ওই কমিটি দিনরাত এক করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে কার মধ্যে ফ্লু-জাতীয় উপসর্গ আছে তা খোঁজ করে, দ্রুততার সঙ্গে ওই ব্যক্তির পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছেন। 


প্রায় ৫০-৬০ দিন পর খুলল দোকানপাট। এক দোকানদার বললেন, এতদিন খোলা হয়নি। দোকানঘর ইঁদুরের আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে। এখন সাফাই করতে হচ্ছে। 


এক নজরে দেখে নেওয়া যাক উত্তরপ্রদেশে কী খোলা আর কী নয়---


সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, নয়ডা ও গাজিয়াবাদে সকল বাজার, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, পরিবহণ, দফতর যাবতীয় কোভিড প্রোটোকল অনুযায়ী চালু করা যাবে। 


শপিং মল, জিম, সিনেমা হল, স্পা, ক্লাব ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। খুচরো দোকান সকাল ৭টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। 


ঘন জনবসতিপূর্ণ  এলাকায় সবজি বাজারকে বলা হয়েছে খোলা জায়গায় বসতে। হোম ডেলিভারির জন্য খোলা থাকবে হোটেল-রেস্তোরাঁ। কিন্তু, সেখানে বসে খাওয়ার অনুমতি নেই। তবে, নয়ডায় কিছুক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে ও এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ধাবাগুলি এবং রাস্তার ধারে খাবারের দোকানে মানুষ খেতে পারবেন।