গাজিয়াবাদ : এক সপ্তাহ ধরে সন্তানের খোঁজ মিলছে না। গত ১৫ অগাস্ট এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন গাজিয়াবাদের জনৈক ব্রিজেশ ত্যাগী। এর এক সপ্তাহ পরে তিনি আরও একটি অভিযোগ জানান পুলিশের কাছে। যাতে তিনি দাবি করেন, তাঁর এক নিকট আত্মীয় ১৪ দিন আগে তাঁর সন্তান রেশু-কে অপহরণ করেছেন। সম্পত্তিগত পুরনো বিবাদের জেরে তাঁর সন্তানকে অপহরণ করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরে তদন্তে নেমে ত্যাগীর ছোট ভাই লিলু-কে মুরাদনগর থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এর পাশাপাশি সম্বল জেলার রাহুল ও হপুর জেলার সুরেন্দ্র-কে গ্রেফতার করা হয় মুরাদনগর থেকে।
ঘটনার নেপথ্যে ?
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসে। মূল অভিযুক্ত লিলু জানায়, রেশুকে প্রথমে অপহরণ করা হয়। তার পর তাকে খুন করে দেহ বুলন্দশহরের কাছে একটি খালে ছুড়ে ফেলা হয়। একাজে তাকে সঙ্গ দেয় সুরেন্দ্র, বিক্রান্ত, মুকেশ ও রাহুল।
এর পাশাপাশি লিলু পুলিশকে জানায়, ২০ বছর আগে ২০০১ সালে সে তার দাদা সুধীর ত্যাগীকে খুন করেছিল। কয়েক মাস পর তার আট বছরের মেয়ে পায়েলকে বিষ খাইয়ে খুন করে । লিলু বলে, এর তিন বছর পর দাদার ছোট মেয়ে ১৬ বছরের পারুলকে খুন করি। পরে তার দেহ হিন্দো নদীতে ছুড়ে ফেলি। আট বছর আগে দাদা ব্রিজেশের ছেলে নিশু-কে খুন করি। ওর দেহও হিন্দো নদীতে ছুড়ে ফেলি। পৈত্রিক সম্পত্তির কারণে পরিবারের সদস্যদের একে একে খুন করে বছর ৪৫-এর লিলু। যাতে কেউ সম্পত্তির ভাগ দাবি না করতে পারে, সেই কারণেই এই খুন বলে অভিযুক্ত জানিয়েছে। প্রায় ৫ কোটি টাকার পুরো সম্পত্তি এভাবেই হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল সে।
এই পরিস্থিতিতে পুলিশ বুলন্দশহর জেলার কাছের খাল থেকে রেশু-র দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ কিছু অডিও রেকর্ডিং জোগাড় করেছে। আদালতে তা পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ অফিসার ইরাজ রাজা।