নয়াদিল্লি: আপাতত প্রবীণদের জন্য হলেও করোনার তৃতীয় টিকা (COVID Booster Dose) দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে। তার মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোভিশিল্ড (Covishield) এবং কোভ্যাকসিন (COVAXIN) টিকার সার্বিক ব্যবহারের সুপারিশ করল তারা। গত এক বছর ধরে জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র রয়েছে ওই দুই টিকার। অর্থাৎ এখন যেমন সরকারের কোউইন (COWIN) পোর্টালে নথিভুক্ত সরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলিরই টিকা রাখার অনুমোদন রয়েছে, খুব শীঘ্র শর্তসাপেক্ষে বাজারের ওষুধের দোকানেও পাওয়া যাবে দু’টি টিকা।


দিল্লি সূত্রে খবর, দুই সংস্থার তরফে বাজারে বিক্রির অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। তার জন্য দুই সংস্থার কাছ থেকে সব রকমের তথ্য চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকারের ওষুধের গুণমান নির্ধারণকারী সংস্থা (Central Drugs Standard Control Organisation / CDSCO)। তা হাতে পেয়েই বুধবার কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড-কে শুধুমাত্র জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের বদলে দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বাজারে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয় দুই সংস্থার তরফে। সিডিএসকো নিজেদের সুপারিশ দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (DCGI)-র কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। সেখান থেকেও সবুজ সঙ্কেত মিললে খুব শীঘ্রই বাজারে মিলবে দুই টিকা।



আরও পড়ুন: India Corona Update: দেশে দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড, একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ১৭ হাজার পার


ওমিক্রন এবং করোনার তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে নতুন বছরের শুরুতেই প্রবীণ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনার বিরুদ্ধে তৃতীয় টিকা অর্থাৎ বুস্টার ডোজ দিতে শুরু করেছে কেন্দ্র। তার মধ্যেই টিকার সার্বিক ব্যবহারের সুপারিশকে গুরু্ত্ব দিয়েউ দেখছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে দিল্লি সূত্রে খবর, বাজারে টিকা বিক্রির অনমোদন এলেো, সরাসরি ওষুধের দোকানে গিয়ে আপাতত তা কেনা যাবে না। বরং কোউইনের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করলে, তবেই কেনা যাবে টিকা।


আপাতত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই দু’টি টিকার সার্বিক ব্যবহারের পক্ষে সুপারিশ করেছে সিডিএসকো। তাদের সুপারিশ খতিয়ে দেখবে ডিজিসিআই। সেই মতো সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। এর আগে, সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (Serum Institute of India/SII) কোভিশিল্ডের সার্বিক ব্যবহারে অনুমোদন চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল। তাদের দাবি ছিল, ১০০ কোটির বেশি কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশের মধ্যেই টিকাকরণের ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে কোভিশিল্ড ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এই টিকা আদৌ নিরাপদ কি না, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছে এই মুহূর্তে ৩০ কোটি কোভিশিল্ড মজুত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভারত বায়োটেকের তরফও সার্বিক ব্যবহারে অনুমোদন চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল।