উত্তরাখণ্ড: অবিশ্রান্ত বর্ষণের জেরে ধসে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। তিনদিনে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৪ জনের। এখনও ১১ জন নিখোঁজ। আহত হয়েছেন ১৯ জন। গতকালই উত্তরাখণ্ডে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করবেন তিনি। অন্যদিকে, হিমাচলের কিন্নরে ট্রেক করতে গিয়ে নিখোঁজ ১৭ জন।


গত ১৪ অক্টোবর, উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী সংলগ্ন হরশিল থেকে হিমাচলের কিন্নর জেলার ছিটকুলের দিকে রওনা দেয় দলটি। হরশিল-ছিটকুল সংযোগকারী দুর্গম লামখাগা পাসে পৌঁছনোর পর থেকেই ট্রেকারদের সন্ধান মিলছে না। খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ, বন দফতর ও ক্যুইক রেসপন্স টিম। আইটিবিপি-কেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। আজ আকাশপথে উত্তরাখণ্ডের দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন অমিত শাহ। 


উত্তরাখণ্ডে ধস আর হড়পা বানে বেড়েই চলেছে মৃত্যু। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬৪। নৈনিতালে আটকে পড়েছেন হাওড়ার অন্তত ৫০ জন পর্যটক। অন্যদিকে আজ, উত্তরাখণ্ডে আটকে পড়া চুঁচুড়ার পর্যটকদের বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক। দেন, পাশে থাকার আশ্বাস। 


উত্তরাখণ্ডে বিভীষিকা! তবে এদিকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। চতুর্দিক দিক থেকে মৃত্যুর খবরের ভিড়ে। ফোনের ও প্রান্ত থেকে ভেসে আসা প্রিয়জনের কণ্ঠস্বর, ভিডিও কলে চোখের দেখা। টানা ৭২ ঘণ্টা উৎকণ্ঠার পর অবশেষে যোগাযোগ। পুজোর ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে এমনই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়ছেন বাংলার বহু পর্যটক।


চোখের সামনে নেমেছে ধস। সাক্ষাৎ মৃত্যু যেন সামনে দাঁড়িয়ে। দশমীর দিন হাওড়া থেকে নৈনিতালের উদ্দেশে রওনা দেন কমপক্ষে ৫০ জন পর্যটক। কারও বাড়ি ডোমজুড়, কারও দাসনগর, আন্দুলে। নৈনিতাল থেকে কৌশানি যাওয়ার পথে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে আটকে পড়েন তাঁরা। কাচছি ধাম যাওয়ার পর আর এগোতে পারেননি। বৃষ্টি ও ধসে রেললাইনের ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত, তবে ফোনে কথা হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে পরিবার। 


অন্যদিকে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গও। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বালাসন নদীর সেতুর ৩ নম্বর পিলার বসে যাওয়ায় বন্ধ যান চলাচল। যদিও বৃষ্টি কমেছে। ২৪ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও শুরু হয়নি মেরামতির কাজ। জল নেমে যাওয়ায় পিলারের ওই অংশের কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা জানতে পরিদর্শনে যান সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কালিম্পংও। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। গতকাল রাতে কালিম্পঙের বিরিক দারায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। ফলে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিম সংযোগকারী জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ।