Uttarakhand Election 2022: রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকের পর অভিমানের অবসান উত্তরাখণ্ডের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াতের। উত্তরাখণ্ডের প্রথমসারির সমস্ত কংগ্রেস নেতার উপস্থিতিতে এই বৈঠকে রাওয়াতের মানভঢঞ্জন হয়েছে বলে খবর। বৈঠকের পর জানানো হয়েছে যে, উত্তরাখণ্ডে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস রাওয়াতের নেতৃত্বেই লড়াই করবে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 


এর আগে রাওয়াতের মন্তব্য ঘিরে উত্তরাখণ্ড কংগ্রেসে অশনি সংকেত দেখা দেয়। রাজ্যে দলের সংকটের অবসানের জন্য তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী। বৈঠকের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গণেশ গোদিওয়াল জানান, প্রচার কমিটির প্রধান হরিশ রাওয়াতের নেতৃত্বেই উত্তরাখণ্ড বিধানসভা ভোটে লড়াই করবে দল। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কাকে করা হবে, এই প্রশ্নের উত্তরে হরিশ রাওয়াত বলেন, কংগ্রসের রীতি অনুসারে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভোটের পর হাইকমান্ড নির্বাচন করে।  


হরিশ রাওয়াত বলেছেন, রাহুল গাঁধী সবার সঙ্গে কথা বলার পর নির্দেশ দিয়েছেন যে, প্রচার কমিটির প্রধানের নেতৃত্বেই ভোটে লড়াই করবে দল। কংগ্রেসের রীতি অনুসারে, দলের সভাপতিই মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা স্থির করেন। বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জিতুক, এটাই আমার ইচ্ছা। 
তাঁর যে ট্যুইট ঘিরে কংগ্রেসের অন্দরে যে ঝড় উঠেছিল সে সম্পর্কে রাওয়াত বলেছেন, যে অচলাবস্থা ছিল, তা নেতৃত্বের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। তা দূর করার দায়িত্ব দলের নেতৃত্বের। নেতিবাচক যে সব বিষয় ছিল, সেগুলির বিরুদ্ধে সরব হয়ে অবসরের কথা বলেছিলাম। আশা করছি, সমস্ত কিছুই ইতিবাচক হবে। দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর প্রতি কটাক্ষ হেনে তিনি বলেছেন, যাঁরা ২০২২-র আশা ছেড়ে ২০২৭-র কথা বলছিলেন, তাঁরাও একসঙ্গে এসেছেন। 


রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক চলে। সেখানে রাওয়াত গোষ্ঠীকেই বেশি সক্রিয় দেখা যায় বলে খবর। অন্যদিকে, বিরুদ্ধ শিবিরের প্রীতম সিংহ ও দেবেন্দ্র যাদবও একজোট হয়ে লড়াইয়ের পক্ষে সওয়াল করেন।


রাজনৈতিক মহলের খবর, উত্তরাখণ্ডের ভোটে দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে চেয়েছিলেন রাওয়াত। কিন্তু আপাতত তাঁকে প্রচার কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এতে সংগঠনে রাওয়াতের ভূমিকা বাড়বে। টিকিট বন্টনেও তাঁর মতামত প্রাধান্য পাবে।