উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে হিমবাহ ভেঙে তুষারধসে বিপর্যয়ের পর জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ।  চামোলি জেলার পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৪টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেনা ও বায়ুসেনা ছাড়াও উদ্ধারকাজে নেমেছে আইটিবিপি ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।  অন্তত ১৭০ জন নিখোঁজ বলে দাবি আইটিবিপি-র।  উত্তরাখণ্ডে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও।  বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীর দাবি, তিনি অনেক আগেই উত্তরাখণ্ডে জলবিদ্যুত্‍ প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।  অথচ তাঁর কথা কেউ শোনেনি।  উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে এক বার্তায় রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, তারা উদ্ধারকাজে যে কোনওরকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত।  প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব।  গতকাল সকালে জোশীমঠের কাছে নন্দাদেবী হিমবাহ ভেঙে তুষার আর কাদাগোলা জলের তোড়ে ভেসে গেছে একাধিক গ্রাম।  ক্ষতিগ্রস্ত তপোবন বিষ্ণুগড় জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ।  ওই প্রকল্পে কর্মরত বেশ কয়েকজন শ্রমিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।  

৮ বছর পর আবারও প্রকৃতির রুদ্ররোষের সাক্ষী রইল দেবভূমি! 
কেদারনাথের ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দিল জোশী মঠের এই ছবি!!
উত্তরাখণ্ড প্রশাসন সূত্রের দাবি, রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ, চামোলি জেলার জোশীমঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পেঙ্গ গ্রামের কাছে ভেঙে যায় নন্দাদেবী হিমবাহ। যার জেরে ধৌলী নদীর জলস্তর হঠাৎ করে বেড়ে যায়! এরই মধ্যে শুরু তুষারধস, বরফ মিশ্রিত কাদাগোলা বিপুল জলরাশি দ্রুত গতিতে আছড়ে পড়ে তপোবন বিষ্ণুগড় জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধের ওপর। বাঁধ ভাঙতেই জলের তোড়ে আশেপাশের একাধিক গ্রাম ভেসে যায়...প্রশাসনের দাবি, বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত ১৭০ জনেরও বেশি শ্রমিক নিখোঁজ!
এই পরিস্থিতিতে, অলকানন্দা আর গঙ্গা তীরবর্তী বিষ্ণুপ্রয়াগ, জোশীমঠ, কর্ণপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, শ্রীনগর, ঋষিকেশ-হরিদ্বারে জারি হয় হাই অ্যালার্ট। 


কিন্তু, উত্তরাখণ্ডের ওপর বারবার এই বিপর্যয় নেমে আসছে কেন?
সেটাই ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।  ২০১৩ সালে কেদারনাথ বিপর্যয়ের পর, পার্বত্য এলাকায় যত্রতত্র বাঁধ এবং অন্যান্য নির্মাণকে  দায়ী করেন অনেকে। রবিবার জোশীমঠে তুষার-বিপর্যয়ের নেপথ্যেও কি তেমনই কোনও কারণ?