নয়া দিল্লি : সম্প্রতি মুম্বইয়ে একজন ৬৩ বছর বয়সী মহিলার মৃত্যু হয়েছে। যিনি দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও মারা গিয়েছেন, এ তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ফলে ভ্যাকসিন ডেল্টা প্লাস ভাইরাসকে কতটা আটকাতে পারে, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ডেল্টা প্রজাতি, যা ভারতে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ার নেপথ্যে দায়ী ছিলেন, সেগুলি অন্যান্য রূপের তুলনায় টিকা দেওয়া লোকদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের রিপোর্টগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে SARS CoV-2 এর এই ভাইরাস সংক্রামিত মানুষগুলি অসংক্রামিত মানুষের মতো ভাইরাল লোড বহন করতে পারে।
গবেষকরা পিসিআর পরীক্ষাগুলি বিশ্লেষণ করেছেন, যে ডেল্টা বৈচিত্রের কারণে নতুন করে ডেল্টা প্লাসে বাড়ছে আক্রান্ত। ডিএনএ, এবং থ্রেশহোল্ড ডেটা বাড়িয়ে ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান সনাক্ত করা হয়েছে। MedRxiv-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায়বলা হয়েছে যে "ডেল্টা ভেরিয়েন্টের উচ্চ এবং ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাবের সময় ভ্যাকসিনের অবস্থা নির্বিশেষে ব্যক্তিদের অনুনাসিক নমুনায় একই রকম ভাইরাল লোড ছিল"।
মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রে ডেল্টা প্লাস ছড়ানোয় বিপদ দেখছেন প্রশাসনের কর্তা ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আতঙ্কও ছড়াচ্ছে। মুম্বাইয়ে সাতজন এবং মহারাষ্ট্রের অন্যত্র ছয়জন ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে এই ১৩ জনসহ সারা দেশে মোট ৮৫ জন ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ডেল্টা প্লাস দ্রুত ছড়াচ্ছে এমন নয়।
জানা গিয়েছে মৃত মহিলার ঘনিষ্ট সংস্পর্শে থাকা দুজনেরও করোনা হয়েছে। তবে তিনি বাইরে কোথাও যাননি। তাকে রেমডিসিভির ছাড়াও স্টেরয়েড দেয়া হয়েছিল। অক্সিজেনও দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।
শনিবার করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও স্বাধীনতা দিবসে কিছুটা স্বস্তি দেশে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৩ জনের। বাড়ল সুস্থতার সংখ্যা। বেশ কিছুটা কমল মৃত্যুও.