কলকাতা: প্রতিদ্বন্দ্বীকে পিছনে ফেলে জয়ী জয়দীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। দেশের নয়া উপরাষ্ট্রপতি হচ্ছেন তিনি (Vice president Election)। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবির তাঁকে মনোনীত করেছিল। বিরোধীদের তরফে প্রার্থী কার হয় মার্গারেট আলভাকে। বড় ব্যবধানে মার্গারেটকে পরাজিত করেছেন ধনকড়। ৭২৫টি ভোটের মধ্যে ৫২৮টি তাঁর পক্ষে গিয়েছে। মার্গারেটের সমর্থনে ভোট পড়েছে ১৮২টি। ১৫টি ভোট অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। আগামী ১০ অগাস্ট বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার পর ১১ অগাস্ট পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন ধনকড়।
দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি হচ্ছেন জগদীপ ধনকড়
জয়ের পর এ দিন ধনকড়কে শুভেচ্ছা জানান প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটারে লেখেন, ‘শ্রী জগদীপ ধনকড়ের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। ভারত যখন স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে, সেই সময় একজন কৃষক সন্তান, আইন সম্পর্কে জ্ঞান এবং বৌদ্ধিক শক্তি রয়েছে যাঁরা, তাঁকে দেশের উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে পেয়ে গর্ববোধ করছি আমরা’।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘কৃষক ঘরের সন্তান জগদীপ ধনকড়ের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়া গোটা দেশের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। দীর্ঘ কেরিয়ারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। তৃণমূল স্তরের মানুষের সমস্যা অনুধাবন করে বহু বছর ধরে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। তাঁর এই অভিজ্ঞতায় লাভবান হবে উচ্চ সদন’।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari News: মোদি-মমতা বৈঠকের পর দিন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দু অধিকারীর, অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে
তবে ধনকড়ের জয় একেবারে অবধারিত ছিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ জনতা দল (ইউনাইটেড), ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, এআইএডিএএমকে এবং একনাথ শিন্ডে নেতৃত্বাধীন শিবসেনার মতো আঞ্চলিক দলগুলি তাঁকে সমর্থন জানায়। অন্য দিকে, মার্গারেটকে সমর্থনের কথা জানায় আম আদমি পার্টি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির মত আঞ্চলিক দল। বিজেপি বিরোধী শিবিরের অংশ বলে দাবি করলেও, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে নিজেদের বিরত রাখে তৃণমূল। সংসদে কংগ্রেসের পর তৃণমূলই দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল। কিন্তু তাদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই মার্গারেটকে মনোনীত করা হয় বলে দাবি জোড়াফুল শিবিরের।
ধনকড়কে সরানোর দাবিতে সরব হয়েছিলেন মমতা
কংগ্রেসের হাত ধরেই রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন ধনকড়। কিন্তু অশোক গহলৌতের প্রভাব বৃদ্ধি পেতে দেখে বিজেপি-তে চলে যান। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বাংলার রাজ্যপাল নিযুক্ত হন তিনি। সেই দায়িত্ব পাওয়ার পর বার বার বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ধনকড়কে অপসারণের দাবিও জানান মমতা। সেই টানাপোড়েনের মধ্যেই এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঘোষিত হন ধনকড়।