নয়াদিল্লি: প্রত্যেকবারের মতো এবারও সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে বিজয় দিবস। ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর এই দিনেই পাকিস্তানের থেকে বেরিয়ে এসে তৈরি হয় বাংলাদেশ। ১৯৭১-এর ইন্দো পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ৩রা ডিসেম্বর। যুদ্ধ চলে টানা ১৩দিন। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর সরকারিভাবে যুদ্ধ শেষ হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য ওই যুদ্ধে আত্মসমর্পন করে ভারতের কাছে। যার মধ্যে ছিলেন তৎকালীন  পাকিস্তানি সেনা প্রধান জেনারেল নিয়াজিও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই ছিল সবথেকে বেশি সংখ্যক যুদ্ধ সেনাদের আত্মসমর্পনের ঘটনা। ভারতের কাছে যেমন এটা বিজয় দিবস। বাংলাদেশের কাছেও তাদের স্বাধীনতা দিবস। 


বিজয় দিবসে কীভাবে শুভেচ্ছা জানাবেন-
১. বিপ্লব কোনও ছোট্ট ঘটনা নয়। এটা আমাদের আবেগ। গোটা জীবনের একাগ্রতাই আমাদের স্বাধীনতা এনে দেয়। শুভ বিজয় দিবস।


২. সত্যিকারের নায়কদের পোশাকে তাঁদের নাম লেখা থাকে না। থাকে দেশের পতাকা। ধন্যবাদ দেশের সমস্ত সত্যিকারের নায়কদের। 


৩. স্বদেশপ্রেম খানিকটা সময়ের জন্য নয়। এটা চিরকালীন। জয় হিন্দ। শুভ বিজয় দিবস।


৪. কিছুই অসম্ভব নয়। যাঁরা দেশকে ভালোবাসেন, তাঁরা দেশের জন্য ভালো পরিবর্তন করতে পারেন। জয় হিন্দ। শুভ বিজয় দিবস।


৫. আজকের বিশেষ দিনে যে সমস্ত বীর জওয়ানরা শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের জানাই শ্রদ্ধার্ঘ্য।


৬. হাজারো বীর সৈন্যের শ্বাস-প্রশ্বাস স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল যাতে আজকের ভারত বুক ভরে শ্বাস নিতে পারে। কখনও দেশের ওই বীর যোদ্ধাদের ভুলে গেলে চলবে না। জয় ভারত, জয় জওয়ান। 


৭. কখনও জিজ্ঞাসা কোরো না তোমার জন্য দেশ কী করেছে। বরং নিজেকে প্রশ্ন করো, তুমি দেশের জন্য কী করেছ। 


৮. স্বাধীনতা কেউ দিয়ে দেয়নি। এটা অর্জন করতে হয়েছে। 


বিজয় দিবসের সেরা উক্তি-
১. স্বাধীনতা কোনও মূল্যের বিনিময়ে পাওয়া নয়। এটা জীবনের শ্বাস-প্রশ্বাস- মহাত্মা গাঁধী


২. অন্যদের দিকে তাকিও না। বরং দেখো নিজে কী করছ। সাফল্য হল সবসময় নিজের সঙ্গে নিজের যুদ্ধে জেতা- চন্দ্রশেখর আজাদ


৩. আমরা ভারতীয়। প্রথম এবং শেষ পর্যন্ত- বি-আর আম্বেদকর