হায়দরাবাদ: একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হয়ে একই সংস্থায় সম-বেতনের চাকরি পেলেন যমজ ইঞ্জিনিয়ার ভাই। 


সপ্তর্ষি ও রাজর্ষি মজুমদার। এই দুই ভাই আদতে পশ্চিবঙ্গের বর্ধমান জেলার বাসিন্দা হলেও, ছোটবেলা থেকেই ঝাড়খণ্ডেই পড়াশোনা করেছে। সেখানেই বেড়ে ওঠা। 


পরে, অন্ধ্রপ্রদেশের এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন দুজনই। 


সম্প্রতি, ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টে দুজনকেই নির্বাচিত করে পিভিপি ইনকর্পোরেশন, যা গুগল জাপানের একটি পার্টনার সংস্থা। 


এই সংস্থা দুই ভাইকে বার্ষিক ৫০ লক্ষ টাকা প্যাকেজ প্রস্তাব দেয়। সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করেননি দুজনই। 


বলা হচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে স্নাতক লাভ করা কোনও পড়ুয়ার জন্য এটাই সর্বাধিক বেতনের চাকরি। এর আগে, ওই রাজ্য থেকে পড়াশোনা করে ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টে এত টাকার চাকরি কখনও পায়নি।


দুই ভাই জানালেন, বাবার চাকরির পোস্টিংয়ের জন্য ছোটবেলা ঝাড়খণ্ডেই কেটেছে। বললেন, ছোটবেলায় প্রথমে বোকারো স্টিল সিটি ও পরে দেওঘরের স্কুলে পড়াশোনা করতে হয়েছে। হাইস্কুল আবার বোকারোতে। 


এরপর, হায়দরাবাদের এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হন দুজনে। ২২ বছরের ভাতৃদ্বয় জানান, তাঁদের বাবা হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার। মা গৃহবধূ। 


এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র দুজন। তাঁদের ব্যাচের গড় বার্ষিক প্যাকেজ যেখানে ৭ লক্ষ টাকা, সেখানে এই যমজ ভাই একেবারে ৫০ লক্ষ টাকার চাকরি বাগিয়ে নিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়ছেন। 


তাঁদের এই সাফল্য নিয়ে উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। এই দুই যমজ কৃতী ভাইকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যককে ২ লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন উপাচার্য। 


তাঁদের এই সাফল্যের নেপথ্যে বাবা-মায়ের অনুপ্ররণাই মূল শক্তি বলে জানিয়েছেন সপ্তর্ষি-রাজর্ষি। দুজনই স্বীকার করেন, তাঁরা কখনও ভাবেননি, এত বড় চাকরির প্রস্তাব পাবেন।


দুই ভাই বললেন,  আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি, একসঙ্গে স্কুলে গেছি। আমাদের ভাবনাচিন্তাও একরকম। সবসময় চেয়েছিলাম, যাতে এক জায়গায় কাজ করি। সেটা অর্জন করতে পেরেছি।


এখন চাকরি করতে একসঙ্গে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় সপ্তর্ষি-রাজর্ষি।