নয়াদিল্লি: যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন, এ বার তারই প্রমাণ দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation/WHO) প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus)। শুধু বিশ্ববাসীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খুঁটিনাটি নয়, হিন্দি ছবিতেও তাঁর সমান আগ্রহ বলে জানালেন। এমনকি ঝালিয়ে নিলেন গুজরাতি ভাষা শিক্ষাও, তা-ও আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সামনে, গুজরাতের মাটিতে দাঁড়িয়ে।


মোদির সামনে গুজরাতি ঝালিয়ে নিলেন হু প্রধান


গুজরাতের জামনগরে গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন-এর উদ্বোধন উপলক্ষে ভারতে পা রেখেছেন গেব্রিয়েসাস। বুধবার সেই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়েই দর্শকাসনে বসা সকলকে চমকে দেন। সাফ-সুতরো গুজরাতিতে দর্শককে শুধোন, ‘‘নমস্কার, কেম ছো, মজামা!’’ হু প্রধানের মুখে গুজরাতি শুনে উচ্ছসিত হয়ে পড়েন মোদিও। হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানান।


প্রচলিত অভ্যাসের বাইরে গিয়ে, আধুনিক যুগে প্রাচীন আয়ুর্বেদিক ঔষধির কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণার জন্যই গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের প্রতিষ্ঠা, যাতে কম খরচেও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া যায় সাধারণ মানুষের কাছে। গুজরাত সরকারের তরফে গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের জন্য ৩৫ একর জমি বরাদ্দ করেছে গুজরাত সরকার। ২০২৪-এর মধ্যে সেটি তৈরি হয়ে যাবে। তার আগে জামনগরে ইনস্টিটিউট টিজিং অ্যান্ড রিসার্চ ইন আয়ুর্বেদ চত্বরেই আপাতত চলবে গবেষণা এবং কাজকর্ম।



আরও পড়ুন: BrahMos Supersonic Cruise Missile: শব্দের চেয়েও দ্রুতগামী, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সারল বায়ুসেনা


ওই কেন্দ্রের উদ্বোধন করতে গিয়ে গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘‘বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে বিবিধ রোগের চিকিৎসায় এখনও সনাতনী ওষুধই প্রাধান্য পায়। ভারতের সঙ্গে এই জন্যই বিশেষ সংযোগ অনুভব করি। ভারত থেকেই সনাতনী ঔষধি সম্পর্কে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। তার জন্য নিজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে কৃতজ্ঞ আমি।’’


বলিউড প্রীতির কথা জানালেন হু প্রধান


এর সঙ্গেই গেব্রিয়েসাস যোগ করেন, ‘‘বলিউড ছবি দেখেই বড় হয়েছি। সুইৎজারল্যান্ড এবং বরফ ঢাকা আল্পস কেন বলিউড ছবির প্রিয় গন্তব্য, তা বুঝি আমি।’’ বুধবার ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মরিসাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দকুমার জগন্নাথ, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল এবং কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও। তাঁদের উপস্থিতিতে ওই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মোদি।