গুয়াহাটি: 'মহিমান্বিত (glorious) করে ঠিকঠাক (rewrite) ইতিহাস (history) লিখতে এখন আমাদের কে আটকাচ্ছে', দিল্লিতে (delhi) অসম সরকারের (assam goverment) এক অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (amit shah)। তাঁর কথায়, 'আমি নিজে ইতিহাসের ছাত্র। প্রায়ই শুনি আমাদের ইতিহাস ঠিকঠাক লেখা হয়নি। বিকৃত করা হয়েছে। হয়তো কথাটা সত্যি। কিন্তু সে সব ঠিক করার এখনই সময়।'



শাহি-বচন...
অসমীয়া 'জেনারেল' লছিত বরফুকানের ৪০০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তাঁর স্মরণেই ২৪ নভেম্বর 'লছিত দিবস' পালন করা হয়। তারই দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এখানে উপস্থিত সকল অধ্য়াপক ও পড়ুয়াকে আর্জি, আমাদের ইতিহাস ঠিকঠাক লেখা হয়নি এই ভাবনাচিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। গত ১৫০ বছরে দেশের যে কোনও প্রান্তে রাজত্ব করেছে এমন ৩০টি বংশ নিয়ে গবেষণা করুন। স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন এমন অন্তত ৩০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে নিয়ে গবেষণা করুন।' এই রকম বিষয়ে যত বেশি আলোচনা, লেখালেখি হবে তত ইতিহাসের 'ভুল' ও 'বিকৃতি' মুছে যাবে, মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এতেই শেষ নয়। এই পথে গবেষণা হলে কেন্দ্রীয় সরকার যে গবেষকদের সাহায্য করবে, বিজ্ঞান ভবনে হাজির সকল অধ্য়াপক ও পড়ুয়াদের সেই মর্মে আশ্বাস দেন শাহ। বলেন, 'এগিয়ে আসুন। গবেষণা করুন, ইতিহাসের পুনর্লিখন হোক। এভাবেই পরবর্তী প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করতে পারব আমরা।' 


কী ব্য়াখ্যা?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, সাধারণ মানুষের বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখে আরও বেশি করে এই ইতিহাস পুনর্লিখনের প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গেই লছিত বরফুকানের কথা তোলেন শাহ। তাঁর মতে, সরিয়াঘাটের যুদ্ধে অসুস্থতা নিয়েই মুঘলদের সাম্রাজ্য বিস্তার আটকেছিলেন লছিত বরফুকান। এই উপলক্ষ্যে তাঁর উপর একটি তথ্য়চিত্রের উদ্বোধন করেন শাহ। বাদ যায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথাও। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সংযোগ স্থাপনে তিনি কী ভূমিকা নিয়েছেন, সে কথা উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে এর পরই তাঁর অনুরোধ, লছিত বরফুকানকে নিয়ে বই যেন অন্তত ১০টি ভাষায় প্রকাশের ব্যবস্থা করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ওঁর সাহসিকতা ও বীরত্ব সম্পর্কে গোটা দেশের মানুষের জানা দরকার। 


আরও পড়ুন:বেনামি আবেদন; মামলা, হাইকোর্টের সিবিআই-নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের