জয়পুর: রাজস্থানে ভেঙে পড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। গ্রামের মধ্যে ভেঙে পড়ে সেটি। ভেঙে পড়ার পর তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় ঢেকে যায় চারিদিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই দৃশ্য পোস্ট করেছেন অনেকেই। সেই আগুনেই ঝলসে যান বিমানের পাইলট। জীবিত বিমান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি তিনি। বিমানে আর কেউ ছিলেন বলে জানা যায়নি। নিহত পাইলটকে শনাক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। (IAF Jet Crash)

বুধবার রাজস্থানের চুরু জেলার ভান্ডুয়া গ্রামে ভেঙে পড়ে বায়ুসেনার জাগুয়ার বিমানটি। সবুজ গাছগাছালির মধ্যে বিমানটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার পর আগুন ও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ওই জায়গা। গ্রামবাসীদের অনেকেই ছুটে যান দুর্ঘটনাস্থলে। যুদ্ধবিমানটির কিছুই আর বেঁচে নেই। কিছু পোড়া অংশ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে শুধু। সেই ধ্বংসাবশেষের মধ্যে থেকেই পাইলটের দেহ বের করা হয়। (IAF Jaguar fighter jet crash)

যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ার খবরে এদিন উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। জেলাশসক  অভিষেক সুরানা, পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, জমির উপর ভেঙে পড়ে যুদ্ধবিমানটি। তীব্র শব্দে বিস্ফোরণের পর আগুনে ঢেকে যায়। তাঁরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বেশ বেগ পেতে হয় তাঁদের। কী করে এই দুর্ঘটনা ঘটল, এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফেই এ নিয়ে কিছু বলা সম্ভব বলে মত স্থানীয় প্রশাসনের।

এদিন দুপুর ১টা বেজে ২৫ মিনিটে ভেঙে পড়ে যুদ্ধবিমানটি। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কমলেশ জানান, দুর্ঘটনাস্থলে দেহের অবশিষ্টাংশ মিলেছে। অর্থাৎ মৃত্যুর বিষয়টিতে সিলমোহর দেওয়া যায়। তবে এ নিয়ে বায়ুসেনার তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত।
 
চলতি বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বায়ুসেনার জাগুয়ার যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ল। এর আগে, এপ্রিল মাসে প্রশিক্ষণ চলাকালীন গুজরাতের জামনগরে ভেঙে পড়ে একটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান। সুভদ্রা গ্রামের কাছে, জামনগর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে খোলা মাঠে ভেঙে পড়ে যুদ্ধবিমানটি। সেবার একজন পাইলট প্যারাশুটে ভর করে বেঁচে ফিরেছিলেন। কিন্তু একজনের মৃত্যু হয়। যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ার পর ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।