নয়াদিল্লি: ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে তিনটি ফ্যালকন অ্যাওয়াকস্ (এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্য়ান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমস) ইতিমধ্য়েই আছে। ইজরায়েল থেকে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার দামের আরও দুটি ফ্যালকন অ্যাওয়াকস সংগ্রহের তোড়জোড় চলছে, যা পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সংঘাতের মধ্যে বায়ুসেনার প্রতিরোধ শক্তি বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারি সূত্রের খবর, আরও ২টি ফ্যালকন আনার সম্মতি দেওয়ার প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্বে রয়েছে।
সূত্রটি বলেছে, আরও দুটি ফ্যালকন অ্যাওয়াকসের অনুমোদন প্রক্রিয়া একেবারে শেষ পর্যায়ে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির (সিসিএস) পরের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
অ্যাওয়াকস রাশিয়া উদ্ভাবিত ইলিউশিন-৭৬ ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফটের ভিতের ওপর তৈরি, তার উন্নততর নজরদারির ক্ষমতার জন্য তাকে আকাশের বুকে ‘চোখ’ বলেও তকমা দেওয়া হয়। এর সবচেয়ে বড় শক্তি হল, এটি ভৌগলিক সীমানা অর্থাত নিজের এলাকা না পেরিয়েও শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, সীমান্তের আশপাশে সেনাবাহিনীর আসা যাওয়ার ওপর নজরদারি চালাতে সক্ষম।
ইজরায়েলি অ্য়াওয়াকসের পাশাপাশি বায়ুসেনা প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো দুটি আগাম ওয়ার্নিং অ্য়ান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমও ব্যবহার করছে।

বালাকোটে সামরিক অভিযানের পাল্টা পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার পরই ভারতীয় বায়ুসেনা আকাশে প্রতিরোধী ব্যবস্থা, মেকানিজমে ফাঁকফোকর দূর করতে দ্রুত আরও দুটি ফ্যালকন অ্যাওয়াকস সংগ্রহের প্রক্রিয়া জোরদার করতে সরকারকে বলে। পাকিস্তানের কাছে ভারতের চেয়ে বেশি অ্যাওয়াকস আছে বলে খবর।

ভারত লাগাতার আকাশপথে প্রতিরোধী মেকানিজম চাঙ্গা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমেরিকা নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিলেও তাকে পাত্তা না দিয়েই
২০১৮র অক্টোবরে ৫টি এস-৪০০ ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি করে ভারত। গত বছর ভারত মিসাইল সিস্টেমের জন্য প্রথম দফার দাম বাবদ প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রাশিয়াকে দেয়।

এছাড়া ৪০টির বেশি সুখোই যুদ্ধবিমানে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সংযুক্তিকরণের কাজও চলছে। সরকার পরিচালিত হিন্দুস্তান এয়ারোনোটকিস লিমিটেড ও রুশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে গঠিত ব্রহ্মোস এয়ারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড প্রকল্পটি কার্যকর করছে।