নয়াদিল্লি: আজই লাদাখ-সফরে যাচ্ছেন ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। এই মুহূর্তে গোগরা-হট স্প্রিং এলাকায় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর ডিএসএনগেজমেন্ট বা সেনা সরানোর প্রক্রিয়া তুঙ্গে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে বলে শুক্রবারই জানায় ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তার পর আজ দেশের সেনাপ্রধানের লাদাখ-সফরের খবর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন কূটনীতিবিদরা।


কী হয়েছে?
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে বকেয়া সমস্যাগুলিও সমাধানে রাজি হয়েছে ভারত ও চিন। মাসখানেক আগে এ নিয়ে ১২ ঘণ্টার বৈঠকে ভারতীয় সেনার তরফে আরও এক বার চাপ দেওয়া হয় বলে খবর। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১১ মার্চের বৈঠকেও ভারতের তরফে বলা হয়েছিল, ডেমচক, দেপসাং, গোগরা-সহ এখনও যে সব চিনা সেনার উপস্থিতি রয়েছে, সেখান থেকে তা দ্রুত সরাতে হবে। কিন্তু তখনও পর্যন্ত তাতে রাজি হয়নি চিন, এমনই শোনা যায়। ফলে আলোচনাও ফলপ্রসূ হয়নি। মাসখানেক আগেকার বৈঠকটিতেও যে সব সমস্যার সমাধানসূত্র পাওয়া গিয়েছে তা নয়। তবে দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় শান্তি ফেরানোর ব্যাপারে একমত হয়। এর মধ্যে গত কাল ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবৃতি দিয়ে বলেন, 'গোগরা হট স্প্রিং এলাকায় দু-তরফই যে অস্থায়ী নির্মাণ করেছে, তা ভেঙে ফেলা হবে। বিষয়টি ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা তা দু-পক্ষই পরখ করে নেবে। স্ট্যান্ড-অফের আগে ওই এলাকার যা গঠন ছিল, তাতেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।'


প্রেক্ষাপট...
২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জেরে দুদেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পৌঁছয়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শান্তি ফেরাতে তার পর থেকে দফায় বৈঠক হলেও আলোচনা খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি বলেই দাবি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের। তার উপর এলএসি লাগোয়া এলাকায় চিনা লালফৌজের নানা ধরনের নির্মাণের খবরে জল্পনা দানা বাঁধে। সব মিলিয়ে ডিএসক্যালেশন এবং ডিএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া গত দু-বছরে খুব বেশি এগোয়নি। তবে গোগরা হট স্প্রিংয়ের সেনা প্রত্যাহারের খবরে কিছুটা হলেও সেই জট কাটার আশা তৈরি হয়েছে।
তার মধ্যে ভারতীয় সেনাপ্রধানের লাদাখ-সফর। কেন যাচ্ছেন তিনি? সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া তদারকিই কি কারণ? জল্পনা শুরু হয়েছে প্রতিরক্ষা মহলে।


আরও পড়ুন:"ওঁকে বীরের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিহার জেলে যেতে হবে", মমতাকে একহাত শুভেন্দুর