কলকাতা : জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পাশে থাকার ফের একবার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। "অনুব্রতকে বীরের সম্মান দিয়ে, জেল থেকে বার করে আনতে হবে", বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। এবার সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূল নেত্রীকে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন তিনি বলেন, "অপেক্ষা করে থাকুন। উনি যে ভাবছেন বীর, ওঁকে বীরের সঙ্গে দেখা করার জন্য দিল্লির তিহার জেলে যেতে হবে।"


অনুব্রতর পাশে মমতা-


ফের একবার জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায় তিনি বলেছেন, অনুব্রতকে বীরের সম্মান দিয়ে, জেল থেকে বার করে আনতে হবে।


আরও পড়ুন ; মঙ্গলকোট মামলায় তথ্যপ্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেলেন অনুব্রত


কখনও ‘বীর’, কখনও ‘বেচারা’। ফের খোলাখুলি, জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে। তারপর লোকসভা ভোট। কিন্তু, বীরভূমে তৃণমূলের ভোট-ম্যানেজার অনুব্রত মণ্ডল এখন গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি। তবে, দলনেত্রী সেই গোড়া থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের পাশে।বৃহস্পতিবারও নেতাজি ইন্ডোরের সম্মেলন থেকে, ফের বুঝিয়ে দিলেন, তিনি কেষ্টর পাশেই আছেন। তিনি বলেন, "প্রতিটা নির্বাচনে ওকে ঘরবন্দি করে দেয়। ভাবছেন জেলে বন্দি রেখে লোকসভা সিট দু’টো দখল করবেন। সে গুড়ে বালি !" এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের অভাব ঢাকতে এবং সংগঠন ও কর্মীদের চাঙ্গা রাখতেই কি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে এই বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী ?


দলনেত্রীর ওই মন্তব্যে যারপরনাই খুশি অনুব্রত। আজ জেল থেকে বেরনোর সময় তাই বলেন, জেলে কেউ সারাজীবন থাকে না। দিদি পাশে আছে, এটাই এনাফ।


প্রসঙ্গত, মঙ্গলকোট মামলায় আজ বেকসুর খালাস পান অনুব্রত মণ্ডল। তথ্যপ্রমাণের অভাবে খালাস পান তিনি। 


মামলার প্রেক্ষাপট 
২০১০ সালে মঙ্গলকোটে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ সহ একাধিক ধারায় মামলা হয় অনুব্রত মণ্ডল, কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে। বাম জমানার শেষলগ্নে, মঙ্গলকোটে অশান্তির ঘটনা ঘটে। এই মামলায়, অন্যতম অভিযুক্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি ও মঙ্গলকোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুব্রত মণ্ডল। কেতুগ্রামের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ তাঁর ভাই ও নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ-সহ মোট ১৫ জন। আগেই এক অভিযুক্তর মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ১৪ জনের বয়ান নেওয়া হয়। অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। শুক্রবার আদালতে পেশ করা হলে প্রমাণের অভাবে খালাস হয়ে যান অনুব্রত সহ ১৪ জন। এর জন্য আসানসোল জেল থেকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে নিয়ে আসা হয় বিধাননগরে।