নয়াদিল্লি: পেরিয়ে গেছে বেশ কয়েক মাস। এ বছরের জুলাই মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ছাড়পত্র  পাওয়ার পর সেনাবাহিনীতে মহিলাদের পার্মানেন্ট কমিশন দেওয়ার কাজ শুরু হয়।। এর ফলে শর্ট সার্ভিস কমিশনের আওতায় সেনাতে কর্মরত  মহিলারাদের পার্মানেন্ট কমিশন দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ তারা বেশি দিনের জন্য কাজ করতে পারবেন সেনাবাহিনীতে, আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে। সেনার দশটি বিভাগের ক্ষেত্রেই এই আদেশ কার্যকর হয়। এত মাস পর বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে ৪৯ শতাংশ মহিলা সেনা অফিসার পার্মানেন্ট কমিশন পাবেন। স্থায়ী কমিশন দেওয়ার জন্য প্রথম গঠিত বোর্ডের ফলাফল জানিয়ে সেনার তরফ থেকে বলা হয়েছে, তালিকা থাকা ৩২০ জন মহিলা সেনা অফিসারকে ২০ বছরের চাকরির পর অবসর নিতে হবে।


শর্ট সার্ভিস কমিশনের আওতায় থাকা কতজনকে স্থায়ী কমিশন দেওয়া হবে, তা বিবেচনার জন্য গঠিত বোর্ডের তালিকায় ছিল ৬১৫ জনের নাম। ২০২০র জুলাই মাস থেকেই সেনা বাহিনীর ১০ টি বিভাগে নিযুক্তদের পার্মানেন্ট কমিশন দেওয়ার কাজ শুরু হয়। সেগুলি হল, সিগনালস, ইঞ্জিনিয়রস, আর্মি অ্যাভিয়েশন, আর্মি এয়ার ডিফেন্স,  মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারস, ইনটেলিজেন্স কোর, আর্মি সার্ভিস কোর, আর্মি অর্ডন্যান্স কোর ।


একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও শীর্ষ আদালত এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রায় দেয় যে,  সেনাবাহিনীতে কর্মরত সব মহিলা অফিসারকে পার্মানেন্ট কমিশন দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ১৪ নাকি ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তাঁরা সেনাবাহিনীতে কর্মরত, তাও বিবেচ্য হবে না। 'শারীরিক সীমাবদ্ধতা' ও 'সামাজিক নিয়ম'-এর যুক্তি দেখিয়ে সেনাবাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী কমিশন ও উচ্চপদে নিয়োগের বিরুদ্ধে সওয়াল করেছিল কেন্দ্র।